র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করেছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়জনকে আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির মধ্যে দু'টি পূরণ হলো। এর আগে আবরার হত্যায় জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর আহসানউল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের নয়জন ছাত্রকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত হয়েছেন তাঁরা। এছাড়া আহসানউল্লাহ হলের চারজন ছাত্রকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সোহরাওয়ার্দী হলের ১৭ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও সতর্ক করা হয়েছে।
বুয়েট-এর সোহরাওয়ার্দী হল ও আহসান উল্লাহ হলে র্যাগিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুয়েট-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে আবাসিক-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বোর্ড এ-ব্যবস্থা নিয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েট-এর শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ফাহাদ হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে প্রশাসনকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি পূরণের শর্ত দেন। সেই তিন শর্তের একটি ছিল আহসানউল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী ও তিতুমীর হলে আগে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, রোববার সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের পরবর্তী অবস্থান জানাবেন তাঁরা।