আগামী ৩০ নভেম্বর বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন গ্রহণের সময় শেষ হচ্ছে। এই সময়সীমার পরে বিদ্যমান কোনো প্রতিষ্ঠান পুরনো নিবন্ধন দিয়ে আমদানি-রফতানি বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অব্যশই অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন, বা নতুন ই-বিআইএন নিতে হবে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), বা ভ্যাট নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধনের সময়সীমা শনিবার (৩০ নভেম্বর) শেষ হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা (ই-বিআইএন) এক লাখ ছাড়িয়েছে। অবশ্য, সময়সীমা পার হওয়ার পরে কোনো ব্যক্তি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু বা ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, সেক্ষেত্রে নিবন্ধন নিতে পারবেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে করজালের আওতায় নিয়ে আসা,অস্তিত্বহীন বা ভুয়া নিবন্ধন বন্ধ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে। ১১ সংখ্যার পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-বিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হয়।
এর আগে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের সময়সীমা কয়েকদফা বাড়ানো হয়। তবে এবার আর সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে জানা গেছে।
ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক হওয়ায় দেশে মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপন করা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই থেকে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন আইনের প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক।
অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বা ই-বিআইএন নেওয়ার বিষয়টি অনেকটা অনলাইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন-এর মতোই।
