রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ২৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে (কপ-২৫)-এ যোগ দিতে স্পেনের মাদ্রিদের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। স্থানীয় সময় বিকেলে তাঁর মাদ্রিদ তোরেজন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তোরেজন বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন স্পেন ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হাছান মাহমুদ খন্দকার। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরকালীন আবাসস্থল মাদ্রিদের হোটেল ভিলা ম্যাগনায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের দ্বিতীয়দিন সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এরপর স্পেনের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু ফিরিয়া দা মাদ্রিদে প্রধানমন্ত্রী ‘কপ-২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দুপুরে জেনারেল রাউন্ড টেবিল-এ অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
পরে রাষ্ট্র ও সরকার-প্রধানদের সম্মানে স্পেনের রাষ্ট্রপতি পেড্রো সানচেজের দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে সরকার ও সিভিল সোসাইটির মধ্যে একটি সংলাপে অংশ নেবেন তিনি। এরপর প্রেসিডেন্ট সানচেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় রাজপ্রাসাদে স্পেনের রাজা ও রানির দেওয়া অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন তিনি।
তিনদিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের পথে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাঁর ঢাকায় পৌঁছার কথা।
২৫তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ‘কপ-২৫’ নামে পরিচিত। জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের এই বার্ষিক সম্মেলন ২-১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন চিলির পরিবেশ মন্ত্রী মিজ ক্যারোলিনা স্মিদভ জালদিভার।
সম্মেলনটি চলতি বছরের নভেম্বরে ব্রাজিলে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা শুরুর আগেই নব-নির্বাচিত সভাপতি জেইর বোলসোনারো অর্থনৈতিক কারণ দেখিয়ে স্বাগতিক হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন।
পরবর্তীতে চিলি এগিয়ে আসে এবং নতুন স্বাগতিক দেশ হয়। কিন্তু এই সম্মেলনের আগে রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে এই দেশটিও স্বাগতিক হওয়া থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। এরপরে জাতিসংঘ, চিলি ও স্পেনের মধ্যকার পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে স্পেন স্বাগতিক দেশ হিসেবে সম্মেলনের আয়োজন করলো।
