loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি


নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সরকারি পর্যায়ে নির্মাণ খাতে ব্যাপক কাজ হচ্ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদের উদাসীনতা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না হওয়া ও আইন প্রয়োগের অভাবসহ নানাবিধ কারণে নির্মাণ কাজে ঝুঁকি কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় পূর্ব পরিকল্পনা, শ্রমিক ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের পূর্ববর্তী কাজের পারফরমেন্স অনুযায়ী ভবিষ্যতে মূল্যয়ন করা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অংশীজনদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, আইনের যথাযথ প্রয়োগসহ নানান পদক্ষেপ নিলে নির্মাণ কাজে ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দি ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘নির্মাণ ঝুঁকি মোকাবেলায় সমন্বিত প্রস্তাবনা: সচেতনতা বাড়াতে অংশীজনদের ভূমিকা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। আরএফএল পাইপ অ্যান্ড ফিটিংস-এর সহযোগিতায় এই বৈঠক আয়োজন করে দি ডেইলি স্টার। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ডেইলি স্টারের সহযোগী সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান । 

বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান বলেন, “নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে সামষ্টিক উদ্যোগ নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সচেতনতার অভাবে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া নির্মাণ শ্রমিকরা সেফটি ইকুইপমেন্ট পরিধান করতে উদাসীনতা দেখান”।

তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকরা যাতে সাবধানতার সাথে কাজ করে, সেজন্য তাঁদের নিবন্ধন প্রথা চালুর করা যেতে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে”।

আরএফএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, “নির্মাণ কাজের সাথে যারা জড়িত তারা পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও আইন যথাযথভাবে মেনে চললে নির্মাণ কাজের ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব হবে”।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল আমিন বলেন, “নির্মাণ কাজ সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের আইন রয়েছে। তবে অনেকেই না জানার কারণে এসব আইন মানেন না। আর যাঁরা প্রয়োগের দায়িত্ব আছেন তাঁরাও ঠিকমত প্রয়োগ করেন না”।

নির্মাণ কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরা সম্পৃক্ত - তাঁদের সবাইকে নিবন্ধনের অধীনে আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “তাহলে সকলের জবাবদিহিতা বাড়বে”।

সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, “নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে প্রচলিত নির্মাণ সামগ্রীর পরিবর্তন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া ভবন, সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়েই ঝুঁকিগুলো শনাক্ত করতে হবে। এতে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে”। 

সড়ক ও  জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, “দরপত্র আহ্বানের সময় নির্মাণ কাজের ঝুঁকি মোকাবেলার শর্তগুলো উল্লেখ করতে হবে, যাতে করে ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলো মেনে চলতে বাধ্য হয়”। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনস্ট্র্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক উদ্দিন, ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) অনারারি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী খায়রুল বাশার ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রওশন আরা খানম।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...