loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় চট্টগ্রামকে হারালো কুমিল্লা


শেষ ওভারের নাটকীয়তায় চট্টগ্রামকে হারালো কুমিল্লা

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা; মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর)

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৯/৬, ২০ ওভার (সিমন্স ৫৫, জুনায়েদ ৪৫, জিয়া ৩৪*; সৌম্য ২/২০)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬১/৮, ২০ ওভার (মালান ৭৪, স্টিয়ান ২২; রুবেল ২/১৬)
ফলাফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ২ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: ডেভিড মালান(কুমিল্লা)

শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ঘটনাবহুল ওভারের শেষ বলে প্রয়োজন হলো তিন রান। রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে মুজিব উর রহমান চার মেরে জিতিয়ে দেন দলকে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের করা ১৫৯ রান শেষ বলে পেরিয়ে দুই উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। টুর্নামেন্টে এটি তাঁদের তৃতীয় জয়। রোমাঞ্চ ছড়ানো এই জয়ে পরের পর্বে যাওয়ার আশাও টিকে রইল দলটির।

অথচ অধিনায়ক ডেভিড মালানের ঝড়ো অর্ধশত রানে অনায়াসেই জেতার পথে ছিল কুমিল্লা। শেষ চার ওভারে কুমিল্লার জিততে দরকার ছিল মাত্র ২৬ রান। সেখান থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। ক্রিজে এসে রায়ান বার্লের বলে চুপসে ছিলেন ডেভিড ভিজে। এ-অবস্থায় খেললেন একের পর এক ডট বল। পরে সাত বলে আউট হন এক রান করে। রুবেল হোসেনের অষ্টাদশ ওভার থেকে এলো মাত্র এক রান, উইকেট গেলো দুইটি।

শেষ দুই ওভারে কুমিল্লার জিততে তখন দরকার ২৪ রান। সহজ ম্যাচ হেরে যাওয়ার মতো অবস্থা! শেষ ওভারে ১৬ রানের চাহিদার মধ্যে ছক্কা-চার মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন আবু হায়দার রনি। পরে স্ট্রাইক পেয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন মালান। এরপর ব্যাট করতে নেমেছিলেন সানজামুল ইসলাম। কিন্তু তাঁকে আবার মাঠ থেকেই ফিরিয়ে মুজিবকে পাঠানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী আউট ধরা হয় সানজামুলকে। শেষ পর্যন্ত মুজিবই হলেন হিরো। শেষ বলে তিন রান দরকার ছিল কুমিল্লার। প্লাঙ্কেটের নিচু ফুলটস মিড উইকেট দিয়ে সীমানা ছাড়া করে উৎসবে মেতে উঠেন মুজিব।

এর আগে বল হাতেও বড় অবদান এই আফগান স্পিনারের। বরাবরের মতো এদিনও তিনি ছিলেন মিতব্যয়ী। মিডিয়াম পেসে রান আটকে দেওয়ার পাশাপাশি ব্রেক থ্রু দিয়েছেন সৌম্য সরকারও। ফলে সহজ লক্ষ্য পেয়েছিল কুমিল্লা।

ভালো ব্যাটিং-উইকেটে ১৬০ রানের লক্ষ্যে সতর্কভাবে শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার। এক প্রান্তে স্টিয়ান অবশ্য ছিলেন আগ্রাসী, সঙ্গী রবিউল ইসলাম নিচ্ছিলেন সময়। চতুর্থ ওভারে গিয়ে ভাঙে তাঁদের ৩০ রানের জুটি। ১২ বলে ২২ করে স্টিয়ান আউট হন প্লাঙ্কেটের বলে। এরপর রবিকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি জুটি পাচ্ছিলেন অধিনায়ক মালান।

এই জুটি ভাঙে রবির প্রস্থানে। মেহেদী হাসান রানার বল ডিফেন্স করেছিলেন রবি, বল উল্টো ঘুরে এগিয়ে এসে ভেঙে দেয় তাঁর স্টাম্প; কিন্তু রবি সময় থাকলেও পা দিয়ে ঠেকাতে পারেননি বল।

বোলিংয়ে ভালো করা সৌম্যের সুযোগ ছিল ব্যাটেও রান করে ম্যাচ-সেরা হওয়ার। কিন্তু জিয়াউর রহমানের বলে স্লগ সুইপ করে ছয় রানে থামেন তিনি।

এরপর ঝড় তুলে বাকিটা ঝটপট শেষ করে দিচ্ছিলেন মালান। ৩৯ বলে ফিফটি করে এই ইংলিশ বাঁহাতি তেতে ওঠেন আরও। খেলা করে দেন সহজ। কিন্তু আরেক পাশে চলে উইকেট পতনের ধারা। ১৮ রান করে সাব্বির রহমান ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত বদলে যায় ম্যাচের ছবি। মালানের ৫১ বলে ৭৪ রানের ইনিংসও বৃথা যেতে বসেছিল একটুর জন্য। অন্য সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে পাঁচ চার, চার ছক্কায় তিনিই দলকে এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকটাই।

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদিন দলকে নেতৃত্ব দেন নুরুল হাসান সোহান। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আঘাতের কারণে এদিন ছিলেন না। ভারপ্রাপ্ত দলনেতা ইমরুল কায়েসও পড়েছেন ইনজুরিতে। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৪ রান করে চট্টগ্রাম। আর পরের দশ ওভার থেকে ছয় উইকেট হারিয়ে করেছে মাত্র ৬৫ রান। 

দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর এনে দেওয়া দারুণ সূচনা অব্যাহত রাখতে পারেননি কেউ।

১১.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৩ রান এলেও শেষ পর্যন্ত দেড়শোর কাছাকাছিই থেকেছে চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। ৩৪ বলে ৫৫ করা সিমন্সকে আউট করে জুটি ভাঙেন সৌম্য। মিডিয়াম পেসে এরপর বেশ কার্যকর ছিলেন তিনি। পরে আউট করেন রায়ান বার্লকেও। চার ওভার বল করে ২০ রানে দুই উইকেট শিকার করেন সৌম্য।

এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার নামা জিয়াউর রহমান ২১ বলে ৩৪ না করলে ১৫০-ও হয়তাে পার হতো না চট্টগ্রামের। যাহােক, বোলারদের নৈপুণ্যে এই রানেও বেশ ভালো লড়াই-ই করেছে দলটি।

Loading...