খ্রিস্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দেশের শিল্পখাতের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ (১ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যপী অনুষ্ঠেয় ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বরাবরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) যৌথভাবে এই মেলা আয়োজন করেছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে দেশের পণ্য প্রদর্শনী এবং পারিবারিক বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দৃষ্টিনন্দন করে এবারের মেলা সাজানো হয়েছে। ৩২ একর জমির উপর নতুন রূপে বসেছে এবারের মেলা। মেলার প্রবেশদ্বার নকশা করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা।
এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভিলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ধরণের স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো - ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।
গতকাল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা মাঠের অস্থায়ী সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে।
খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না-হয়, সে-ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।
অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে দুইটি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক এবং বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ।
