loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

শেন ওয়াটসনের ঝড়ে রংপুরের জয়


শেন ওয়াটসনের ঝড়ে রংপুরের জয়

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম; শুক্রবার (৩ জানুয়ারি)

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর র‍্যাঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৯৯/৫ (ওয়াটসন ৬৮, নাঈম ৪২, ডেলপোর্ট ২৫; সান্তোকি ১/৫৬, ইবাদত ২/৩০, রাদারফোর্ড ১/২৮, মনির ১/২৫)
সিলেট থান্ডার: ১৯.১ ওভারে ১৬১ (রাদারফোর্ড ৬০, মিঠুন ৩০, মনির ০; মোস্তাফিজ ২/১৮, তাসকিন ২/৩৯, গ্রেগরি ২/২৭, নবি ১/২৭, ডেলপোর্ট ১/২৫)
ফলাফল: রংপুর র‍্যাঞ্জার্স ৩৮ রানে জয়ী

পাঁচ, এক, সাত ও দুই - বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ শেন ওয়াট্সনের এই ম্যাচের আগের চার ইনিংসের রান সংখ্যা। অথচ বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে আনা এই অসি-তারকার কাছে রংপুর র‍্যাঞ্জার্সের প্রত্যাশাটা ছিল বেশ বড়। যাহোক, পঞ্চম ম্যাচে এসে রানের দেখা পেয়েছেন তিনি; খেলেছেন ঝড়ো এক ইনিংস। তাঁর ব্যাটিংয়ে চড়েই সিলেট থান্ডারকে হারিয়ে নকআউট পর্বে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রংপুর। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সিলেটের মাঠেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩৮ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় দলটি।

এদিন টস জিতে সিলেট বোলিং বেছে নেয়। আগে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগায় রংপুর। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অধিনায়ক ওয়াটসন দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ওপেনিং জুটিতে এসেছে ৭৭ রান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেছিলেন নাঈম। প্রথম দুই ওভারে জোড়া বাউন্ডারিতে করেন। এরপর আস্তে আস্তে হাত খোলেন ওয়াটসন। নাঈম হাসানের সপ্তম ওভারে দু’টি করে চার ও ছক্কা মারেন ওয়াটসন। নাঈমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাঈম।

নাঈমের বিদায়ের পরে ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে ৬১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক। তাতে বড় সংগ্রহের পথে যায় দলটি। এরপর অবশ্য ইবাদত হোসেন পঞ্চদশ ওভারে বল করতে এসে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে রানের গতিতে কিছুটা লাগাম টেনেছিলেন। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নবি ও ফজলে মাহমুদও ঝড় তোলেন। শেষ ওভারে বেশ অনিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সান্তোকি, তিনি দিয়েছেন ২৪ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়াটসন। ৩৬ বলে গড়া এ ইনিংসে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ৩৩ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ আসে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। ডেলপোর্ট ২৫ ও মোহাম্মদ নবি ২৩ রান করেন। শেষ দিকে আট বলে একটি চার ও ছক্কায় ১৬ রান করেন ফজলে মাহমুদ। সিলেটের পক্ষে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ইবাদত।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মন্দ ছিল না সিলেটের। ছোট ছোট জুটিতে তিন উইকেটে ১২৭ রান করেছিল দলটি। কিন্তু এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তাঁরা। ১৮ রানের ব্যবধানেই হারায় চার উইকেট। ফলে বড় চাপ বেড়ে যায়। অবশ্য এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের আশা জাগিয়ে রেখেছিলেন শেরফেন রাদারফোর্ড; তবে রান নিতে গিয়ে পা শূন্যে থাকায় রান আউট হন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর বাকী ব্যাটসম্যানরা শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছেন। ফলে পাঁচ বল বাকী থাকতেই ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন রাদারফোর্ড। ৩৭ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় এই স্কোর করেন এই ক্যারিবিয়ান। এছাড়া ৩০ রান করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। রংপুরের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও লুইস গ্রেগরি।

এই জয়ে ১০ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রংপুর। অন্যদিকে আগেই বিদায় নেওয়া সিলেটের এটি নবম পরজায়। ১০ ম্যাচে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে দলটি।

Loading...