loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

শান্তর শতরানে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষে খুলনা


শান্তর শতরানে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষে খুলনা

বঙ্গবন্ধু বিপিএল, শনিবার (১১ জানুয়ারি), শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ২০৫/৪ (মুমিনুল ৯১, মেহেদী ৬৮*; আমির ১/৩৫, ফ্র্যাইলিঙ্ক ২/৩৫, শফিউল ১/৫০)
খুলনা টাইগার্স: ১৮.১ ওভারে ২০৭/২ (শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫; মেহেদী ১/৩৯, শাদাব ১/৩২)
ফলাফল: খুলনা টাইগার্স আট উইকেটে জয়ী
ম্যান-সেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত (খুলনা টাইগার্স)

এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ তাঁর শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র পাঁচ রান। পরে একাদশ থেকে বাদই পড়ে যান তিনি। ফিরে এসে অবশ্য ভালোই খেলছিলেন, তবে ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। যাহােক, শনিবার (১১ জানুয়ারি) দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন তিনি। পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএল-এ শতরান করার কৃতিত্ব দেখালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর নৈপুণ্যে ভর করেই ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স।

বিপিএল-এ এর আগে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল। 

শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন অবশ্য শুরুটা ধীরেই শুরু করেছিলেন শান্ত। প্রথম ১২ বলে করেছিলেন ১১ রান। এরপর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকেন তিনি। ২৭ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধ শতরান। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে। এবারের বিপিএল-এ এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি।

এদিন জিতলেই শীর্ষে উঠে গ্রুপ পর্ব শেষ করার হাতছানি ছিল দুই দলেরই; যদিও তবে শেষ চার আগেই নিশ্চিত আগেই করেছিল তাঁরা। এমন ম্যাচে চাপ ছিল না কোনো দলেরই। আর এর প্রতিফলন মাঠে পড়েছে ভালোভাবেই। চার-ছক্কার ফুলকি ছুটিয়ে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে দুই দল। আগে ব্যাট করে বেশ বড় সংগ্রহ করেছিল ঢাকা। তবে শেষটা রাঙিয়ে দেয় খুলনা - যার মূল কৃতিত্ব শান্তরই।

২০৬ রানের লক্ষ্যে খুলনার সূচনা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭০ রানের ওপেনিং জুটি পায় দলটি। এরপর মিরাজ আউট হয়ে গেলে রাইলি রুশোর সঙ্গে ৮১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন শান্ত। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ। ১১ বল ও আট উইকেট হাতে থাকতে জিতেছে দলটি।

শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। ৫৬ বলের ইনিংসে চার ও ছক্কা মেরেছেন সমান সাতটি করে। দারুণ ব্যাটিং করেছেন মিরাজও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ৪৫ রান।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। সূচনা ভালো হয়নি তাঁদের। দলীয় ৩৫ রানেই টপ অর্ডারের তিনটি উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর তরুণ মেহেদী হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওপেনার মুমিনুল হক। সেই চাপ সামলে নেওয়ার পাশাপাশি রানের গতি বাড়ানোর কাজেও নামেন তাঁরা - গড়েন ১৫৩ রানের অসাধারণ এক জুটি। এতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২০৫ রান করেছে দলটি।

৫৯ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল। দারুণ ব্যাটিং করেছেন মেহেদীও। ৩৫ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৮ রানের অপরাজেয় এক ইনিংস খেলেন এ তরুণ। খুলনার পক্ষে ৩৫ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রবি ফ্র্যাইলিঙ্ক।

Loading...