loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বিপিএল: রাজশাহীকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনা


বিপিএল: রাজশাহীকে হারিয়ে ফাইনালে খুলনা

বঙ্গবন্ধু বিপিএল, সোমবার (১৩ জানুয়ারি)
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৫৮/৩ (শান্ত ৭৮, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৩, বোপারা ১/২৪)
রাজশাহী রয়্যাল্স: ২০ ওভারে ১৩১ (মালিক ৮০, তাইজুল ১২; আমির ৬/১৭, ফ্র্যাইলিঙ্ক ১/২৯, শহিদুল ১/১৫, মিরাজ ২/৬)
ফলাফল: খুলনা টাইগার্স ২৭ রানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স)

দলকে ভালো রান এনে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত, এরপর বল হাতে দারুণ দাপট দেখালেন মোহাম্মদ আমির। এই দুইয়ের সমন্বয়ে খুলনা টাইগার্স-এর কাছে পাত্তাই পায়নি রাজশাহী রয়্যাল্স। ফলে, বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এর ফাইনালে সরাসরি উঠলো খুলনা। অবশ্য হারলেও ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়নি রাজশাহীর। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে লড়াইয়ের সুযোগ থাকছে তাঁদের।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী রয়্যাল্সকে ২৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে খুলনা। মূলত খুলনার পাকিস্তানি পেসার আমিরের দুর্দান্ত বোলিংয়েই জয় পেয়েছে দলটি। রীতিমতো রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন আমির। টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেন তিনি। পেতে পারতেন আরও একটি উইকেট, যদি সহজ ক্যাচ না ছাড়তেন শহিদুল ইসলাম।

এদিন রানের ১৫৯ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের আক্রমণের মুখে পড়ে রাজশাহী। দলীয় ২২ রানে দুই ইনফর্ম ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে অভিজ্ঞ ব্যাট্সম্যান অলক কাপালিকেও বিদায় দেন তিনি। ফলে বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর আমিরের সঙ্গে যোগ দেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার রবি ফ্র্যাইলিঙ্কও। এক রান যোগ হতেই ফেরান রবি বোপারাকে। এরপর ফের বোলিংয়ে এসে রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলকে ফেরান আমির। আর শহিদুল ইসলাম ফেরান ফরহাদ রেজাকে। মূলত তখনই শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর জয়ের আশা।

৩৬ রানে ছয় উইকেট হারানো দলের হাল তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ধরেন শোয়েব মালিক। ৭২ রানের জুটি গড়ে দলের ইনিংস মেরামত তো করেছেনই, জয়ের স্বপ্নও জাগিয়ে তুলেছিলেন এই পাকিস্তানি। যাহােক, এই জুটিও ভাঙেন আমির। অষ্টাদশ ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে দুই সেট ব্যাটসম্যানকেই ফেরান তিনি। ফলে শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস।

সতীর্থদের ব্যর্থতায় ধারার বিপরীতে এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৮০ রান করেছেন মালিক। ৫০ বলে এই রান করতে ১০টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এছাড়া তাইজুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। তবে সব আলো কেড়ে নেন আমির-ই। মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ছয়টি উইকেট তুলে নেন তিনি - যা বিপিএল-এর সেরা বোলিং ফিগার, এমনকি আমিরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেরও সেরা ফিগার।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খুলনা। শুরুটা ভালো হয়নি তাঁদের। দলীয় ১৫ রানেই ছন্দে থাকা ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় দলটি। কোনো রান যোগ না হতেই আরেক ইনফর্ম ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোকেও হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় খুলনা।

এরপর শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। গড়েন ৭৮ রানের দারুণ এক জুটি। তবে শুরুতেই ফিরে যেতে পারতেন শান্তও। ব্যক্তিগত পাঁচ রানে শোয়েব মালিকের বলে বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল করার সময় ক্রিজে পা ছিল না মালিকের। নো-বলের কারণে রক্ষা পান শান্ত।

এরপর আরও এক দফা জীবন পেয়েছেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শান্ত শেষ পর্যন্ত খেলেছেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। ৫৭ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা ছিল তাঁর। 

পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গেও দারুণ জুটি গড়েন শান্ত। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৫৮ রান করতে পেরেছে খুলনা। 

রাজশাহীর পক্ষে চার ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে দুই উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ইরফান।

Loading...