loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

ঢাকাকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম


ঢাকাকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, সোমবার (১৩ জানুয়ারি)
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮, ২০ ওভার (শাদাব ৬৪*, মোমিনুল ৩১, এমরিত ৩/২৩)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩, ১৭.৪ ওভার (গেইল ৩৮, মাহমুদুল্লাহ ৩৪*, শাদাব ২/৩২)
ফলাফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সাত উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: রায়াদ এমরিত (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)

মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা প্লাটুনকে বিদায় করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে উঠেছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম সাত উইকেটে হারিয়েছে ঢাকাকে। প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ১৪৪ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৪ বল বাকী রেখেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।

আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের সাথে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচ খেলবে চট্টগ্রাম।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হাতে ১৪টি সেলাই নিয়েই এই ম্যাচে খেলতে নামেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাশের খেলাতেও উজ্জীবিত হতে পারেননি ঢাকার উপরের সারির ব্যাটসম্যানরা। চট্টগ্রাম বোলারদের তোপে ৬০ রানে ঢাকার সাত ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেনকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তিন রান করা তামিম। এরপর ক্রিজে আরেক ওপেনার মোমিনুল হকে সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। তবে রান তোলার কাজটা করছিলেন মোমিনুল। উইকেট সেট হবার পরিকল্পনায় ছিলেন বিজয়। কিন্তু পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নিতে হয় তাঁকে। রানের খাতা খোলার আগেই ক্রিজ ছাড়েন এনামুল। তিনি শিকার হন স্পিনার নাসুম আহমেদের।

এনামুলের বিদায়ের পরে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ঢাকার মিডল-অর্ডার। ৩৩ রানে ছয় উইকেট পতন হয় ঢাকার।

অষ্টম উইকেটে শ্রীলংকার থিসারা পেরেরাকে নিয়ে মারমুখী ব্যাট করেন পাকিস্তানের শাদাব। ৩৩ বলে ৪৪ রান যোগ করেন তাঁরা। এর মধ্যে ১৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৫ রান করেন পেরেরা। 

অষ্টাদশ ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১০৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন পেরেরা। এ-অবস্থায় ঢাকার রান কত হয় - সেটিই ছিল দেখার বিষয়। কিন্তু পেরেরার বিদায়ে মাশরাফির ব্যাট হাতে নামায় পুরো স্পটলাইট ছিলো অধিনায়কের উপর। কারণ ১৪টি সেলাই নিয়ে ব্যাট করাটা কঠিনই। তারপরও দুই বল খেলেছেন তিনি। একবার হাত চেপেও ধরেছিলেন ম্যাশ। কিন্তু শাদাবকে স্ট্রাইক দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। স্ট্রাইক পেরে উনবিংশ ওভারে চট্টগ্রামের পেসার মেহেদি হাসানকে দুইটি চার ও একটি ছক্কা মারেন শাদাব। সেই ওভার থেকে ১৬ রান পায় ঢাকা।

শেষ ওভারে জিয়াউর রহমানের প্রথম দুই ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৬ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন শাদাব। চতুর্থ ডেলিভারিতে নো-বলে ছক্কাও মারেন শাদাব। আর শেষ তিন বলে দুই করে ছয় রান নেন তিনি। ফলে শেষ ওভারে ২৩ রান তুলে সম্মানজনক স্কোর করতে পেরেছে ঢাকা। 

পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪১ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন শাদাব। চট্টগ্রামের এমরিত তিনটি, রুবেল ও নাসুম দুইটি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রামের ইনিংস শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও জিয়াউর রহমান। মাশরাফির করা প্রথম ওভার থেকে মাত্র এক রান নেন গেইল। স্পিনার মেহেদির পরের ওভার থেকেই এক রানের বেশি পায়নি চট্টগ্রাম। তবে মাশরাফির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মারমুখী হয়ে উঠেন জিয়াউর। দু’টি চার ও একটি ছক্কায় ১৫ রান করেন তিনি। জিয়াউরের মারমুখী মেজাজের ব্যাটিং দেখে হাত খোলেন গেইলও। পরের ওভারে মেহেদিকে দু’টি ছক্কা মারেন তিনি।

এরপর আরও একটি চার ও ছক্কা মেরে ঢাকার মেহেদির বলেই আউট হন জিয়াউর। ১২ বলে তিনটি চার ও দুইটি ছক্কায় ২৫ রান করেছেন তিনি। তাঁর আউটের পরে গেইলকে নিয়ে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। দেখেশুনে খেলে ৪৩ বলে ৪৯ রান যোগ করে চট্টগ্রামের জয়ের পথ সহজ করেন গেইল ও ইমরুল। 

ত্রয়োদশ ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই গেইল-ইমরুল জুটিতে ভাঙ্গন ধরান শাদাব। ২২ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩২ রান করে ইমরুল বিদায় নেন।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে গেইলকে বিদায় দেন শাদাব। স্লগ সুইপ করতে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন গেইল। জায়গায় দাঁড়িয়েই এক হাতে ধরেন মাশরাফি। বাঁ-হাতে সেলাই থাকায় ডান-হাতে ক্যাচটি নিয়ে দর্শকদের চমকে দেন ম্যাশ। ৪৯ বলে একটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৩৮ রান করেন গেইল।

গেইলের আউটের পরে ৩২ বলে ৪৩ রান দরকার ছিলো চট্টগ্রামের। দলের বাকী কাজটি শেষ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। 

শাদাবের করা অষ্টাদশ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। চারটি ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ১০ বলে ১২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ওয়ালটন। 

ঢাকার শাদাব ৩২ রানে দুই উইকেট শিকার করেছেন।

Loading...