loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

  • নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’ শুরু

  • চেল্সির ছয় গোলে জয়ের ম্যাচে পামার চার গোল

  • ক্যালিয়ারির সাথে ড্র করে ইন্টারের পয়েন্ট নষ্ট

  • বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে লেভাকুজেনের বুন্দেসলিগা জয়

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ: ড্র করেও শেষ চারে সিশেল্স


বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ: ড্র করেও শেষ চারে সিশেল্স

গোল ব্যবধানে মরিশাসকে পেছনে ফেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে সিশেল্স। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেছে মরিশাস ও সিশেল্স। কিন্তু গোল ব্যবধানে, অর্থাৎ, গোল কম খাওয়ার সুবাদে গ্রুপ রানারআপ হিসেবে টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠে গেছে সিশেল্স।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের ফেভারিট বুরুন্ডির কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল মরিশাস। অন্যদিকে, একই দলের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল সিশেল্স। দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বুরুন্ডি।

সোমবারের ম্যাচের শুরুতে পয়েন্টহীন দুই দল মরিশাস ও সিশেল্সের জন্যই উন্মুক্ত ছিল শেষ চারের পথ। ফলে গ্রুপের আজকের ম্যাচটি ছিল এ দু’দলের জন্যই ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচ। র‌্যাংকিয়ে ২৮ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে আধিপত্য ছিল সিসেলেসেরই। যদিও ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে মরিশাস। কিন্তু প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে নিজেদের এগিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব দেখায় সিশেল্স।

ষষ্ঠ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার বালিসন সতীর্থর উদ্দেশ্যে পাস দিলেও বক্সে ক্লিয়ার করেন সিশেল্সের ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটে এন্তনির কর্ণারে ফরোয়ার্ড বটলারাডরেইনের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসায় গোল বঞ্চিত হয় মরিশাস। ১৯ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় সিশেল্স। বক্সের সাইড থেকে সতীর্থর কোনাকোনি পাসে মিডফিল্ডার জারভেইস ওয়ে-হাইভ বুক দিয়ে বল রিসিভ করে ডান পায়ের জোড়ালো শট নিলে গোলরক্ষকের গায়ে লেগে আশ্রয় নেয় জালে (১-০)।

২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার বারনডন লাবরসির পাসে বল পেয়ে পোস্টের কাছ থেকে শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সিশেল্সের ফরোয়ার্ড পেরী মনীআই (২-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিশেল্স।

বিরতির পর ৬০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি ফরোয়ার্ড ডারেল ডেমোর শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। পরের মিনিটেই ফরোয়ার্ড বটলারাডরেইনকে ফাউল করেন সিশেল্সের ডিফেন্ডার মাথিহিওট। মরিশাসের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে এ-যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন সিশেল্সের গোলরক্ষক ইয়ান আহ কক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। কারণ ওই কর্নার থেকেই এক গোল আদায় করে নেয় মরিশাস।

৬৬ মিনিটে কর্নার থেকে বক্সে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মরিশাসের বদলী ফরোয়ার্ড এলেক্স জেসন (২-১)। ৮২ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় সিশেল্স; কারণ, দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার জুনিনহো। যোগ হয়া টাইমে (৯০+১) মিনিটে ফরোয়ার্ড পারলের পাস থেকে শটে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে সমতা আনেন মিডফিল্ডার এডরেইন ফ্রাংকোইস (২-২)।

ম্যাচ শেষে দু’দলের ফুটবলারদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য স্বল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের মোকাবেলা করবে সিশেল্স। ২৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বুরুন্ডির মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল পাঁচটায় শুরু হবে।

Loading...