প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে লজ্জাজনক পরাজয়ের পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছেন ভিরাট কোহলিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৮৬/৯ (স্মিথ ১৩১, লাবুস্কাগ্নি ৫৪; শামি ৪/৬৩, সাইনি ১/৬৫, কুলদিপ ১/৬২, জাদেজা ২/৪৪)
ভারত: ৪৭.৩ ওভারে ২৮৯/৩ (রোহিত ১১৯, কোহলি ৮৯, শ্রেয়াস ৪৪*; হ্যাজেলউড ১/৫৫, অ্যাগার ১/৩৮, জ্যাম্পা ১/৪৪)
ফলাফল: ভারত সাত উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয়ী
তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রোববার (১৯ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে হারিয়েছে ভারত। বেঙ্গালুরুতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৮৬ রান করে সফরকারী দল। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে ২৮৯ রান করে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে ভারতীয়রা।
প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ে পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছেন কোহলিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁরা জিতেছিলেন ৩৬ রানে।
রোববার ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর আগের ম্যাচের মতোই হাল ধরেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুস্কাগ্নি। তাঁদের ১২৭ রানের জুটিতে বড় স্কোর গড়ার আশা জাগিয়েছিল দলটি। কিন্তু ৬৪ বলে ৫৪ রান করে লাবুশেন ফিরলে স্মিথ আর যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পাননি কাউকে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে তিনি সাজঘরে ফেরেন ১৩১ রানে। তার ১৩২ বলের ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও ১ ছয়।
রানের গতি বাড়াতে লাবুস্কাগ্নি আউট হওয়ার পর চমক দেখিয়ে মিচেল স্টার্ককে পাঁচে নামিয়েছিল অজিরা। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন বাঁহাতি পেসার। ছয়ে নেমে অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৩৫ রান। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৩ রান যোগ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। হারায় ৫ উইকেট।
৬৩ রানে চার উইকেট নিয়ে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার শামি। নিজের শেষ চার ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেন এই পেসার। তিনি সাজঘরে পাঠিয়েছেন স্মিথ, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জ্যাম্পাকে।
এরপর ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন রোহিত। শিখর ধাওয়ান কাঁধে আঘাত পাওয়ায় ওপেনিং করতে নামা লোকেশ রাহুল ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর অবদান মাত্র ১৯।
প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৭ রান যোগ করেন রোহিত-কোহলি। অজিদের সেরা দুই পেসার, কামিন্স ও স্টার্কের ওপর দিয়েই ঝড়টা গেছে বেশি। ক্যারিয়ারের উনত্রিংশতম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রোহিত ফেরার পরে কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন কোহলি। দ্রুত রান তোলায় তাঁকে সঙ্গ দেন শ্রেয়াস। রান তাড়ায় বরাবরই দুর্বার ভারত দলনেতা অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছেন।
পুরো ইনিংসে একবারের জন্যও ভারতকে চেপে ধরতে পারেনি অ্যারন ফিঞ্চ-বাহিনী। রোহিত ১২৮ বলে ১১৯ রান করেন আট চার ও ছয় ছক্কায়। কোহলির ৯১ বলে ৮৯ রানের ইনিংসে ছিল আটটি চার। শ্রেয়াস ৩৫ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এদিন ম্যাচ-সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা। সিরিজ-সেরার পুরস্কার জিতেছেন ভিরাট কোহলি।