loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে মধুমেলা


মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে মধুমেলা

বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের (১৮২৪-১৮৭৩) ১৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মধুমেলা শুরু হচ্ছে আজ। কবির জন্মভিটা যশোরের কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত সাগরদাঁড়ি গ্রামে সপ্তাহব্যাপী এই মেলা চলবে। সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য (যশোর-৬) ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধুমেলার উদ্বোধনী কর্মসূচি বাতিল করা হয়। প্রতিবারের মতোই মধুমেলা ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল।

মহাকবির জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৭৩ সাল থেকে মধুসূদনের জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মধুমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। মধুমেলায় এ-অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হাজার-হাজার মানুষ সাগরদাঁড়িতে আসেন। মধুমঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ আলোচকরা মহাকবির জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করবেন। মধুপ্রেমী অসংখ্য মানুষ তা থেকে সাহিত্যরস আহরণ করেন।

মধুমেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসন ও মধুসূদন একাডেমি সাগরদাঁড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, যাত্রাপালাসহ নানা ধরনের বিনোদন থাকবে।

মেলা উপলক্ষে কপোতাক্ষের দু’পাড়েই উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এ-অঞ্চলের মানুষ তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের বরণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। পুরো এলাকা সেজেছে বর্ণিল সাজে। কুঠির শিল্প ও গ্রামীণ পসরা নিয়ে মেলায় বসেছে দুই শতাধিক স্টল। মেলা চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সার্বক্ষণিক টহল দেবেন।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন জমিদার। তাঁর মা জাহ্নবী দেবী। মধুসূদনের কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো - মেঘনাদবধ কাব্য, বীরাঙ্গনা, শর্মিষ্ঠা (নাটক), ক্যাপটিভ লেডি (নাটক), কৃষ্ণকুমারী (নাটক), বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ (প্রহসন) প্রভৃতি। 

এই মহাকবির জন্মের কারণেই সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগদ্বিখ্যাত। কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়েই চলেছে।

মধুসূদন ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Loading...