loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর সুবিধা গ্রহণে নেপালের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান


বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর সুবিধা গ্রহণে নেপালের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর সুবিধা গ্রহণের জন্য নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালি বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ-বিষয়ে ব্রিফ করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বৈঠকে তাঁরা দু’দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।

‘নেপাল ও ভুটান সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পারস্পরিক সুবধার স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে,’ বলেছেন তিনি। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও বিবিআইএন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বদা নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

এ-প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে। বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে তরিতরকারি ও মাছ রপ্তানি করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন।

বৈঠকে প্রদীপ কুমার গেওয়ালি বলেন, নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রা দিতে চায়।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নেপালও উন্নতি করছে, কেননা এ-বছর দেশটি ৭.১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। 

সফররত নেপালের মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশাফি বিনতে শামস ও বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র এ-সময় উপস্থিত ছিলেন।

Loading...