loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত অফিস ১৫ জুন পর্যন্ত


স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত অফিস ১৫ জুন পর্যন্ত

সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে বুধবার (২৭ মে) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ-বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

তিনি জানান, আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিসসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে খোলা থাকবে। তবে সবাইকে ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীরা এবং অসুস্থ ব্যক্তি অফিস করতে পারবে না। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলবে না। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া যাবে না। প্রতিটি জেলায় চেকপোস্ট থাকবে। স্কুল, কলেজ আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ে অনলাইনে কার্যক্রম চলবে।

তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিকদের জন্য অর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে খোলা থাকবে। হাট-বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত হালকা যানবাহন এবং সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিমান চালানো যাবে।

এখন যে-সকল নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে – সেটি ১৫ জুন পর্যন্ত কার্যকর। ১৫ জুনের পরে আরেকটি প্রজ্ঞাপন হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না-হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।

২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সাথে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং এর অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।

সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় – যা এখনও চলছে।

করোনার-সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল কিছু পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয় এবং কারখানার মালিকরা দাবি করেন যে – তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শুধুমাত্র ঢাকায় উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম চীন থেকে সংক্রমণ শুরুর পর করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে।

Loading...