loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২২ জনের মৃত্যু, সুস্থ ৩৪৬ জন


দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২২ জনের মৃত্যু, সুস্থ ৩৪৬ জন

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশে এ-পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করলেন ৫৪৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১,৫৪১ জন। বর্তমানে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৮,২৯২। করোনা-আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। ফলে, এ-পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭,৯২৫ জন।

আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ-তথ্য জানান।

আজ আক্রান্তের হার ১৯.২২ শতাংশ, আগের দিন যা ছিল ২১.৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ বলে তিনি জানান।

ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭,৮৪৩টি। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৪৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮,০১৫টি। এ-পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি।

তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারী ২২ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও দুইজন নারী। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন ও সিলেট বিভাগের দুইজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের এবং বাসায় একজনের।

ডা. নাসিমা জানা, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৮১ জনকে এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৭ জন। এ-পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২,৩৮০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪,৯৯৪ জন।

সারাদেশে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০৬টি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২,৭৮৯ জনকে। এ-পর্যন্ত ২ লাখ ৭১ হাজার ১০৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২,০৮২ জন, এ-পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৬,৬৯৬ জন। 

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য বর্তমানে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা দেয়া যাবে ৩১,৯৯১ জনকে।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এ-পর্যন্ত সংগ্রহ ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৭টি এবং এ পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৪টি। বর্তমানে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৩টি পিপিই মজুদ রয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় হটলাইন নম্বরে ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৬৯টি এবং এ-পর্যন্ত ৮০ লাখ ২৭৮টি ফোন কল রিসিভ করে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাস চিকিৎসাবিষয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৪ জন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ফলে, এ-পর্যন্ত ১৬,১৮৭ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেন। তাঁদের মধ্যে ৪,২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিআর-এর হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডা. নাসিমা জানান, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৮১৫ জনসহ এ-পর্যন্ত বাংলাদেশে আগত ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৬ মে পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা-আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯,০৬৬ জন। এ-পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮৮ জন এবং এ-পর্যন্ত ৬,১৪০ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৬ মে পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩,৭৮০ জন। এ-পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৫১২ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১,৪৮৬ জন এবং এ-পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৪১ জন।

“আপনার সুস্থতা আপনার হাতে” উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মুখে মাস্ক পরা, বেশি করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডিম, মাছ, মাংস, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

Loading...