কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াবে। এ-কারণে চলমান সংকট ও সংকটোত্তর কালেও বেশি হারে লোক মারা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র মহাসচিব টেড্রস আধানম গেব্রেয়াসুস সোমবার (১ জুন) জেনেভা সদরদপ্তরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ-ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে, মহামারি ও তারপরেও মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাবে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
ডব্লিউএইচও বলছে, ব্যাকটেরিয়া-সংক্রমণের হুমকি মোকাবেলায় স্বল্প সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগীর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। সংস্থাটি চিকিৎসকদের জন্য জারি করা দিকনির্দেশনায় যাঁদের কোভিড-১৯ এর মৃদু উপসর্গ কিংবা অল্প অসুস্থতা রয়েছে – তাঁদেরকে অ্যান্টিবায়োটিক না-দেয়ার কথা বলেছে।
টেড্রস বলেছেন, নির্দেশনায় জীবনরক্ষায় জীবাণুর প্রতিরোধক্ষমতা ঠেকানোর কাজে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। তিনি জীবাণুর প্রতিরোধী-ক্ষমতাকে এ-সময়ের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন।
টেড্রস অ্যান্টিবায়োটিক সঠিকভাবে ব্যবহার না-করার বিষটিকে তুলে ধরে বলেন, কিছু দেশে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের দেশ – যেখানে জীবনরক্ষাকারী ঔষধ সহজলভ্য নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের অতিব্যবহার দুর্ভোগ ও মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে।
এদিকে, গত ডিসেম্বরে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে। তাঁরা বলছেন, মে মাসের তিন সপ্তাহের জরিপে দেখা গেছে, নিম্নআয়ের দেশগুলোতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগীদের চিকিৎসা বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গণজমায়েতের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সংস্থাটি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে প্রাণ হারান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এখন উত্তাল। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শত শত লোকের কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত ছড়াবে বলেও আশঙ্কা করেছেন টেড্রস।