loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা-শনাক্ত ২৮২৮ জন, মৃত্যু ৩০ জনের, সুস্থ ৬৪৩ জন


দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা-শনাক্ত ২৮২৮ জন, মৃত্যু ৩০ জনের, সুস্থ ৬৪৩ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪,০৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২,৮২৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ-নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ৬০,৩৯১ জন হলো। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এ-পর্যন্ত মৃত্যু হলো ৮১১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩ জন। ফলে, এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১২,৮০৪ জন।

আজ শুক্রবার দুপুরে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ-তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫০টি ল্যাবে ১৪,০৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা সাপেক্ষে শনাক্তের হার ২০.০৭ শতাংশ। 

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪,৬৪৫টি। এ-পর্যন্ত তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। তাঁদের মধ্যে তিনজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ও একজনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে ১২ জন, সিলেট বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে একজন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, বাড়িতে মারা গেছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়, আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.২০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

ডা. নাসিমা জানান, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৬৫ জনকে এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৭৩ জন। এ-পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩,৮৪৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৬,৯৪৬ জন।

দেশে বর্তমানে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩,২৮৪টি। এরমধ্যে ঢাকায় ৭,২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬,০৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০৬টি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ২,২৪৫ জনকে এবং কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৪৯৫ জন। এ-পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৩ জনকে এবং এ-পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ১১৪ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৫৭,৩১৯ জন। 

দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা দেয়া যায় ৩১,৯৯১ জনকে।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এ-পর্যন্ত সংগ্রহ ২৫ লাখ ৯ হাজার ১৪২টি। গত ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ১৩,৪০০টি। এ-পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে ২২ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৫টি। বর্তমানে ২ লাখ ৯২ হাজার ৬৬৭টি পিপিই মজুদ রয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় হটলাইন নম্বরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪০৭টি এবং এ-পর্যন্ত ৯৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫৮টি ফোন কল রিসিভ করে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসাবিষয়ে এ-পর্যন্ত ১৬,২৭৪ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আরও সাতজন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪,২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার-এর হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডা. নাসিমা জানান, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১,৭১১ জনসহ এ-পর্যন্ত বাংলাদেশে আগত ৭ লাখ ৭ হাজার ১৭৫ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা-আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১২,৯৭৭ জন। এ-পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৯৭ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩৩ জনের এবং এ-পর্যন্ত ৮,৬১০ জনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা-আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮১ জন। এ-পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লাখ ১৬ হাজার ৮২৮। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪,৮৪২ জনের এবং এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৭ জনের।

আপনার সুস্থতা আপনার হাতে - এ-কথা পুনরুল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে তিনি সকলের আবারও প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়।

Loading...