বায়ার্ন মিউনিখ বুন্ডেসলিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে সাতদিনও হয়নি। সেই জয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই নিজেদের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত করলো ক্লাবটি। এবার জার্মান কাপও জিতে নিয়েছে তাঁরা। বায়ার লিভারকুসেনকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই শিরোপা জয় করে হ্যান্স ফ্লিকের দল।
এনিয়ে রেকর্ড ২০ বার জার্মান শিরোপা জয় করলো বায়ার্ন। ফলে ডাবল জিতে ২০১২-১৩ মৌসুমের পর আরও একবার ট্রেবল জয়ের অপেক্ষায় দলটি। আগামী মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেই এফ. সি. বার্সেলোনার রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবেন তাঁরা। অন্যদিকে অপেক্ষার প্রহর আরও বাড়লো লিভারকুসেনের। আরও একটি ফাইনাল হারলো ক্লাবটি। সবশেষ ১৯৯৩ সালে কোনো শিরোপা জিতেছিল দলটি।
বার্লিনে শনিবার (৪ জুলাই) রাতে বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন রবার্ট লেভানদোস্কি। এছাড়া গোল পেয়েছেন দাভিদ আলাবা ও সার্জি জিনাব্রিও। লিভারকুসেনের হয়ে গোল পেয়েছেন সভেন বেন্ডার ও কাই হাভার্টজ।
এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বায়ার্ন। এগিয়ে যায় ষোড়শ মিনিটে। দারুণ এক ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন আলাবা। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে আট মিনিট সময় নেন তাঁরা। জশুয়া কিমিচের পাস থেকে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন এই মিডফিল্ডার। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দলটি।
৫৯ তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বায়ার্ন। এবার গোল করেন দলের সেরা তারকা লেভানদোভস্কি। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার জোরালো এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড (৩-০)। অবশ্য, এই গোলে দায় রয়েছে গোলরক্ষক লুকাস হারাডেটস্কির। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বল ছেড়ে দিলে তা গড়িয়ে গোললাইন পেরিয়ে যায়।
চার মিনিট পরে ব্যবধান কমায় লিভারকুসেন। দারুণ এক হেডে দলকে ম্যাচে ফেরান ডিফেন্ডার বেন্ডার (৩-১)। যাহােক, ৮৯তম মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। ইভান পেরিসিচের পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান লেভানদোভস্কি (৪-২)। চলতি মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে এটা তাঁর ৫১তম গোল।
ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে সফল স্পট কিকে গোল করেন হাভার্টজ (৪-২)।