loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

অ্যান্ড্রু কিশোরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ১৫ জুলাই


অ্যান্ড্রু কিশোরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ১৫ জুলাই

বরেণ্য সংগীতশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে তাঁর শহর রাজশাহীসহ সারাদেশের সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় অ্যান্ড্রু কিশোরের মরদেহ মহিষবাথান থেকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর ছেলে জে অ্যান্ড্রু সপ্তক ও মেয়ে মিনিম অ্যান্ড্রু সংজ্ঞা অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে। তাঁদের আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। ফলে অ্যান্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই, জানিয়েছেন তাঁর ভগ্নিপতি ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস।

মৃত্যুর আগে প্লেব্যাক সম্রাটখ্যাত এই শিল্পী নির্ধারণ করে গেছেন নিজের সমাধিস্থলের জায়গা। ফলে সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভগ্নিপতি। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অ্যান্ড্রু কিশোরের মরদেহ তাঁদের ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী চার্চে রাখা হবে। এরপর মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। বেলা ১১টা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর দুইটার দিকে সরকারি কলেজে মরদেহ নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে বেলা সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ চার্চে বেরিয়াল গ্রাউন্ডে নেয়া হবে এবং নির্দিষ্ট করা জায়গায় সমাহিত করা হবে।

টানা প্রায় ১০ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোর। তিনি রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বড় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন।

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন অ্যান্ড্রু কিশোর। রাজশাহীতেই কেটেছে অ্যান্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ ছবির ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্যদিয়ে অ্যান্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সংগীতে অসামান্য অবদানের আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন খ্যাতনামা এই শিল্পী।

অ্যান্ড্রু কিশোরের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে – ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ ইত্যাদি।

Loading...