যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচন মঙ্গলবার (১৪ জুলাই)। এদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনবিধি অনুযায়ী রোববার (১২ জুলাই) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র অনুযায়ী, যশোর-৬ আসনে একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ১২২জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯৬ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ৭৪৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
এই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার (নৌকা প্রতীক), বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) এবং জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আরও জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রগুলোতে এবং ভ্রাম্যমাণভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকায় দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ২০টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ছয়টি দল নির্বাচনে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে পুলিশ ও আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।