জস্ বাটলার, ডেভিড মালানের ব্যাটিংয়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করেছিল ইংল্যান্ড। সেই রান তাড়া করে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। মনে হয়েছিল অনায়াসেই জিততে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দুই ওপেনারের বিদায়ের পরে পথ হারায় তাঁদের ইনিংস। মার্কস স্টয়নিক্স শেষ ওভারে কঠিন সমীকরণ মেলাতে রোমাঞ্চ তৈরি করেছিলেন; কিন্তু জেতা হয়নি তাঁদের।
সাউদাম্পটনের এইজেস বৌলে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইংল্যান্ডের কাছে দুই রানে পরাজিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক দলের ১৬২ রানের জবাবে আচমকা গতিপথ পরিবর্তনের ম্যাচে ১৬০ রানে থেমেছে অজিরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ফিঞ্চ-ওয়ার্নারের ব্যাট হয়ে উঠেছিল উত্তাল। ওয়ার্নার কিছুটা বুঝেশুনে খেললেও ফিঞ্চ রান বাড়াতে থাকেন দ্রুত। ওভারপ্রতি দশের কাছাকাছি রান করতে থাকেন তাঁরা। একাদশ ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ৩২ বলে ৪৬ রান করা ফিঞ্চ জোফ্রা আর্চারে বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ততক্ষণে উঠে গেছে ৯৮ রান।
এরপর স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে সহজেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া হারতে পারে – তেমন কোনো আভাসই তখন ছিল না। ১১ বলে ১৮ রান করা স্মিথকে ফেরান রশিদ খান। এরপরই ঘুরতে থাকে ম্যাচের চিত্র। টপাটপ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৮ করা ওয়ার্নার, অ্যালেক্স ক্যারি ফিরে যান।
ক্রমাগত উইকেট পতনের সঙ্গে থমকে যায় রানের গতিও। তবু শেষ দুই ওভার থেকে জিততে ১৯ রান দরকার ছিল অজিদের – টি-২০ ক্রিকেটে যা কঠিন বলা যায় না।
ক্রিস জর্ডারেন উনবিংশ ওভারে এসেছে মাত্র পাঁচ রান, রান আউট হয়ে যান অ্যাস্টন অ্যাগার জিততে শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার হয় অস্ট্রেলিয়ার। স্টয়নিক্স ছিলেন স্ট্রাইকে। টম ক্যারানের প্রথম বল ডট হওয়ার পরে দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন তিনি। তৃতীয় বল আবার ডট। শেষ তিন বল থেকে নিতে পেরেছেন ছয় রান। ফলে, ঘাটতি থেকে যায় মাত্র দুই রানের।
এদিন আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন জস্ বাটলার। জনি বেয়ারস্টোকে এক পাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। আট রান করা বেয়ারস্টো ফেরার পরে ডেভিভ মালান হাল ধরেন। ২৯ বলে ৪৪ করে বাটলার আউট হন অ্যাগারের বলে। মালান ৪৩ বলে ৬৬ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে ক্রিস জর্ডানের ব্যাট থেকে। বড় সংগ্রহ না পেলেও তা নিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় পেল ইয়ন মরগ্যানবাহিনী।
একই মাঠে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচটি হবে আগামী রোববার (৬ সেপ্টেম্বর)।