নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফেরার লক্ষ্য নিজেকে প্রস্তুত করতে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-তে অনুশীলন শুরু করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর থেকে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় আছেন সাকিব। আগামী ২৯ অক্টোবর তাঁর এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকেএসপিতেই অনুশীলন করবেন তিনি।
বিকেএসপি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোচ সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম সাকিবের অনুশীলন দেখাশোনা করছেন। এক সপ্তাহ ফিটনেস ট্রেনিং শেষে তিনি স্কিল ট্রেনিং শুরু করবেন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগ পর্যন্ত সাকিব এখানে অবস্থান করবেন।
দেশে ফেরার পর করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন সাকিব, যার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরে সরাসরি বিকেএসপিতে আসেন তিনি।
আশরাফুজ্জামান আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে সাকিব বিকেএসপিতে এসে বিশ্রাম নেন। এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র হিসেবে এখানে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সাকিব।
আসন্ন শ্রীলংকা সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলের ফিরতে পারেন সাকিব। ২৪ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় টেস্টে খেলতে পারবেন না তিনি। কারণ, তাঁর নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৯ অক্টোবর। তবে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইতোমধ্যে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবার পর দ্বিতীয় টেস্ট থেকে খেলতে পারেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে, নিজের ফিটনেস ও স্কিল ফিরে পেতে সাকিব যে উদ্যোগ নিয়েছেন – তাতে তাঁরা আনন্দিত।
গত বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন সাকিব। আট ম্যাচে তিনি ৬০৬ রান করেন এবং ১১ উইকেট শিকার করেন। ফলে, বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অন্তত ৫০০ রান ও ১০ উইকেট নেওয়া প্রথম ক্রিকেটার হয়েছেন সাকিব।