loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে ফিরলো ইংল্যান্ড


অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে ফিরলো ইংল্যান্ড

দ্বিতীয় ওয়ানডে, ১৩ সেপ্টেম্বর, ম্যানচেস্টার

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ২৩১/৯, ৫০ ওভার (মরগান ৪২, রুট ৩৯, কারান ৩৭, রশিদ ৩৫*, জাম্পা ৩/৩৬)
অস্ট্রেলিয়া: ২০৭/১০, ৪৮.৪ ওভার (ফিঞ্চ ৭৩, লাবুস্কাগ্নি ৪৮, ওক্স ৩/৩২)
ফলাফল: ইংল্যান্ড ২৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: জোফ্রা আর্চার (ইংল্যান্ড)
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা
টস: ইংল্যান্ড

১৪৯ রানে আট উইকেট পতনের পরে দুই টেইলএন্ডার স্যাম কারান ও আদিল রশিদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৩১ রান সংগ্রহ করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ২৩২ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করতে ৩০.৪ ওভারে দুই উইকেটে ১৪৪ রান করেও ফেলে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ, শেষ ১১৬ বলে আট উইকেট হাতে নিয়ে ৮৮ রানের প্রয়োজন ছিলো অজিদের। এই কাজটাই করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড পেসারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ২০৭ রানে অলআউট হয় সফরকারী দল। ফলে ২৪ রানে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড।

তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। প্রথম ওয়ানডে ১৯ রানে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া।

ম্যানচেস্টারে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) টসে জিতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ২৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে দলের হাল ধরেছিলেন জো রুট ও অধিনায়ক ইয়োন মর্গান। অবশ্য, জুটিতে ৬১ রানের বেশি করতে পারেননি তাঁরা। রুট-মরগানের জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার এডাম জাম্পা। ৭৩ বলে ৩৯ রান করে জাম্পা’র প্রথম শিকার হন রুট।

দলীয় ৯০ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান রুটের বিদায়ের পরে ১৪৯ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। জশ বাট্লার ৩, মরগান ৫২ বলে ৪২, স্যাম বিলিংস ৮, ক্রিস ওক্স ২৬ রান করে ফেরেন।

৪১তম ওভারে অষ্টম উইকেট পতনে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় ইংল্যান্ডের। কিন্তু কারান-রশিদ ব্যাট হাতে চমক দেখান। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমণ করে তাঁদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরান কারান-রশিদ। নবম উইকেটে ৫৭ বলে ৭৬ রান যোগ করেন কারান ও রশিদ। কারান পাঁচটি চারে ৩৯ বলে ৩৭ এবং রশিদ তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৩১ রানে সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল।

অস্ট্রেলিয়ার জাম্পা তিনটি ও মিচেল স্টার্ক দুইটি উইকেট শিকার করেন।

২৩২ রানের লক্ষ্যে শুরুতে বিপদে পড়েছে অস্ট্রেলিয়াও। ৩৭ রানে দুইজন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ডেভিড ওয়ার্নার ছয় ও মার্কাস স্টয়নিস নয় রান করে ফেরেন। দু’জনই ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারের শিকার। আর্চারকে খেলতে হিমশিম খেয়েছেন ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দু’বার ও ওয়ানডেতে দু’বার আর্চারের শিকার হলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১১ ইনিংসে সাতবার আর্চারের শিকার হলেন ওয়ার্নার।

যাহোক, শুরুর ধাক্কা সামাল নেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্নাস লাবুস্কাগ্নি। ১৩৯ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার এগিয়ে যাওয়ার ভিত গড়ে দেন তাঁরা। তবে, ৩১তম ওভারের পঞ্চম বলে লাবুস্কাগ্নিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ওক্স। তিনটি চারে ৪৮ রান করেছেন তিনি।

এরপরই ভেঙ্গে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। ১৪৫ রানে মিচেল মার্শ-ফিঞ্চ, ১৪৭ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ে ছয় উইকেটে ১৪৭ রানের দলে পরিণত হয় অজিরা। ২১ বলের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারী দলটি। এরমধ্যে ওক্সেরই ছিলো তিন উইকেট, অন্যটি আর্চারের।

উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি এক প্রান্ত আগলে শেষ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। আট বল বাকী থাকতে ২০৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। আট চার ও এক ছক্কায় ১০৫ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান ফিঞ্চ। 

ইংল্যান্ডের ওক্স-আর্চার-কারান তিনটি করে উইকেট নেন। 

এদিন ম্যাচ-সেরা হয়েছেন আর্চার।

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি।

Loading...