তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ম্যানচেস্টার
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০২/৭ (বেয়ারস্টো ১১২, বিলিংস ৫৭, ওক্স ৫৩*; স্টার্ক ৩/৭৪, কামিন্স ১/৫৩, জ্যাম্পা ৩/৫১)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৪ ওভারে ৩০৫/৭ (ম্যাক্সওয়েল ১০৮, ক্যারি ১০৬, স্টার্ক ১১*; ওক্স ২/৪৬, আর্চার ১/৬০, রশিদ ১/৬৮)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া তিন উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
সিরিজ-সেরা: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারিয়ে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। পরে সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে তোলেন জনি বেয়ারস্টো। শেষভাগে ক্রিস ওক্সের অর্ধশত রান দলকে নিয়ে যায় ৩০০ ছাড়িয়ে। অন্যদিকে, বড় লক্ষ্য অতিক্রমে খেলতে নেমে ৭৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থা থেকে ২০০ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যালেক্স ক্যারি। শতরান করেছেন দু’জনেই।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একদিনের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে দুই বল হাতে রেখে তিন উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারি ১১৪ বলে ১০৬ আর ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে করেন ১০৮ রান। ফলে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে অস্ট্রেলিয়া জিতলো ২-১ ব্যবধানে।
এদিন ৩০২ রান তাড়ায় নামা অ্যারন ফিঞ্চকে শুরুতেই আউট করেন ওক্স। আগের দুই ম্যাচে জোফ্রা আর্চারকে সামলাতে না পারা ডেভিড ওয়ার্নার এবার শুরুতে টিকেছিলেন, কিন্তু টানতে পারেননি ইনিংস। জো রুটের স্পিনে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে মার্কাস স্টয়নিসকে এলবিডব্লিউতে বিদায় করেন ওক্স। চারে খেলা মার্নাস লাবুস্কাগ্নি ২০ রান করে রান আউট হয়েছেন। স্পিন দিয়ে মিচেল মার্শকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান রুট।
তবে, এরপরই শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল-ক্যারির ঘুরে দাঁড়ানো। কিপার-ব্যাটসম্যান ক্যারি কিছুটা সময় নিয়ে খেলেছেন, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ছিলেন তাঁর মতোই। আগ্রাসী মেজাজে রান রেট সচল রেখেছেন চাহিদামাফিক। ষষ্ঠ উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২১২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। দলের জয় একরকম নিশ্চিত করেই বিদায় নেন তাঁরা। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হয়নি।
টস জিতে ব্যাট করতে যাওয়া ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভয়াবহ। ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারায় দলটি। স্টার্কের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন জেসন রয়; অধিনায়ক রুট এসে ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করে কাটা পড়েন এলবিডব্লিওতে।
অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে এরপর জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। দু’জনের জুটিতে ৬৭ আসার পরে লেগ স্পিনার জাম্পার আঘাতে বিদায় মরগ্যানের। ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগে জাম্পার শিকার জস্ বাটলারও। এই ধাক্কা ইংল্যান্ড সামলে নিয়েছে বেয়ারস্টো-স্যাম বিলিংসের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি এসেছে। আগ্রাসী মেজাজে খেলে রান বাড়ান বিলিংস। বেয়ারস্টো ধরে রাখেন বড় সংগ্রহের আশা।
৫৮ বলে ৫৭ করা বিলিংস পরে ফিরেছেন জাম্পার বলে রিভার্স স্যুইপে ক্যাচ দিয়ে। ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করে বেয়ারস্টো বোল্ড হন কামিন্সের বলে। টেইল এইন্ডারদের নিয়ে এরপর ক্রিস ওক্স ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান তিনশোর উপরে।
যাহােক, শেষ পর্যন্ত উল্লাস করেছেন ম্যাক্সওয়েল-ক্যারিরাই।