loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে

  • সিটিকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে রিয়াল

  • আর্সেনালকে বিদায় করে সেমিতে বায়ার্ন

  • ‘রাজকুমার’ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার ৭৫ থিয়েটারে

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

ই-ক্যাব সদস্য বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনে পেঁয়াজ কেনা যাবে


ই-ক্যাব সদস্য বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনে পেঁয়াজ কেনা যাবে

অনলাইন শপ থেকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য গ্রোসারি ই-কমার্স শপগুলো কমমূল্যে আমদানিকৃত পেয়াজ বিক্রির সুযোগ পাবে। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনও ছয় লাখ টন পেয়াজ মজুদ আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবুও মায়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও কম দামে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে |

সরকারের কাছ থেকে পেঁয়াজ পেলে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ক্যাম্পেইন শুরু করবে এবং শীঘ্রই সরকার নির্ধারিত দামে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে। ইতোমধ্যে ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি যৌথভাবে এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরী করেছে, যার অধীনে একটি সমন্বয় ও নজরদারি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারিশপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে – কি-না তা তদারক করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানকে প্রধান করে এই কমিটি প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধি, একজন ই-ক্যাব প্রতিনিধি, একজন অনলাইন শপ প্রতিনিধি ও একজন টিসিবি প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন। এছাড়া, গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন শপগুলোর সাথে এ-বিষয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ই-ক্যাব-এর জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, “আমরা ই-ক্যাব থেকে ইতোমধ্যে করোনাকালীন নিয়মিত সেবা দিয়ে মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া, লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য সরবরাহ, আমমেলার মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রয় ও ডিজিটাল কোরবানি হাটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে একদিকে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, অন্যদিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সবসময় আমাদের সাথে ছিল। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর সফলতাই আমাদেরকে আজ পেঁয়াজের বাজারে নিয়ে এসেছে।”

জানা গেছে, সরকারের আমদানিকৃত পেয়াজের দশ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এর পরিমাণ কম হলেও পরে বাড়ানো হবে। আশা করা যায়, ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ অনলাইন শপ থেকে এই কর্মসূচির আওতায় বিক্রি করা হবে। পরিস্থিতির আলোকে এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অনলাইন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাঁদের নিজস্ব গুদামঘর, বিস্তৃত ডেলিভারি সক্ষমতা ও ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে – তাঁদেরকে এই সেবার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...