অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে আলভারো মোরাতাকে ধারে দলে এনেছে ইউভেন্টাস। ফলে ‘তুরিনের বুড়ি’দের আক্রমণভাগে এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার হতে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর নতুন সঙ্গী।
এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউভেন্টাসে খেলে গেছেন মোরাতা। সে-সময় তাঁর সতীর্থ ছিলেন দলটির বর্তমান কোচ আন্দ্রে পির্লো। মূলত সেই পুরনো সম্পর্কের কারণেই মোরাতাকে আনতে উদ্যোগ নেন এই ইতালিয়ান। মোরাতার মাদ্রিদ ছাড়ার কারণ অবশ্য শুধু পির্লোই নন, অ্যাটলেটিকোয় কোচ ডিয়েগো সিমিওনির সঙ্গে সম্পর্ক অবনতিও হয়েছিল তাঁর। এর জের ধরেই ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এরমধ্যে পুরনো সতীর্থ পির্লোর ডাক আসায় আর দেরি করেননি এই স্প্যানিশ তারকা। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
মোরাতাকে ধারে আনতে ১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ইউভেন্টাস। অবশ্য চুক্তিতে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে। তবে এজন্য বাড়তি ৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটিকে। আর ইউভেন্টাস যদি মোরাতাকে না কিনতে চায়, তাহলে ধারের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে নিতে পারবে। এতে বাড়তি ১০ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে অ্যাটলেটিকোকে। বাড়তি এক বছর ধারে রাখার পরে কিনতে চাইলে ইউভেন্টাসের খরচ হবে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউরো।
বড় হয়ে মোরাতার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে, রিয়াল মাদ্রিদে। পাঁচ বছরে মাত্র ৩৭ ম্যাচে মাঠে নেমে গোল করেছিলেন ১০টি। তবে রিয়ালের ‘বি’ দলের হয়ে খেলেছিলেন ৮৩ ম্যাচ, গোল করেছিলেন ৪৫টি।
রিয়াল ছেড়ে ২০১৪ সালে ইউভেন্টাসে যোগ দেন মোরাতা। তুরিনের ক্লাবটিতে ৬৩ ম্যাচ খেলে করেন ১৫ গোল। দুই বছর পরে ফের রিয়ালে ফেরেন তিনি। এবার ২৬ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে করেন ১৫ গোল। কিন্তু এক মৌসুম পরে তাঁকে চেল্সির কাছে বিক্রি করে দেয় রিয়াল।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দুই মৌসুম কাটিয়ে ২০১৯ সালে ধারে অ্যাটলেটিকোতে পা রাখেন মোরাতা। সিমিওনির অধীনে ৪৯ ম্যাচে ১৮ গোল করলেও তাঁকে ধার থেকে স্থায়ী করে নেয় অ্যাটলেটিকো। কিন্তু কোচের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে নতুন মৌসুমে কোনো ম্যাচ না খেলেই পিরলোর ডাকে সাড়া দিলেন তিনি।