loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

এবার সুপার কাপের শিরোপাও জিতলো বায়ার্ন


এবার সুপার কাপের শিরোপাও জিতলো বায়ার্ন

৬৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হাঙ্গেরির পুস্কাস অ্যারিনায় প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে গড়িয়েছে এবারের ইউয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল, যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া। মহামারিতে স্থগিত হওয়ার পরে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল ম্যাচে এই প্রথম দর্শক উপস্থিতি দেখা গেলো। আর এই দর্শকরা গ্যালারিতে বসে রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল দেখলেন, যা-তে ২-১ গোলে জিতে শিরোপা উৎসব করেছে বায়ার্ন।

ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল প্রাধান্য বিস্তার করে খেলা বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে সমতায় ফিরলেও সেভিয়ার বিপক্ষে জয়সূচক গোল পেতে ক্লাবটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ইউয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে হ্যান্সি ফ্লিকের দলের নায়ক হাভি মার্টিনেজ।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে শেষ হাসি হেসেছে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাজয়ী বায়ার্ন। ইউয়েফা ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে দলটি।

পুস্কাস অ্যারিনায় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লুকাস ওকাম্পোস হুলেন লোপেতেগির দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরে সমতা আনেন জার্মান মিডফিল্ডার লিয়ন গোরেৎস্কা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ব্যবধান গড়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্তিনেজ।

দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। এর আগে ২০১৩ সালে শিরোপা জিতেছিল জার্মান ক্লাবটি। অন্যদিকে, ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই নিয়ে টানা পাঁচবার সুপার কাপের ফাইনালে হারলো স্পেনের ক্লাব সেভিয়া।

কোভিড-১৯ বিরতির পরে গত মাসে ইউরোপিয়ান ফুটবল ফিরলেও স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে এই ম্যাচে ২০ হাজার দর্শককে মাঠে বসে খেলার সুযোগ দেয় ইউয়েফা। যদিও হাঙ্গেরিসহ ইউরোপের অনেক দেশেই নতুন করে করোনা-সংক্রমণ বাড়ছে।

এদিন ত্রয়োদশ মিনিটে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন ওকাম্পোস। স্পট-কিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বায়ার্ন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করেন তিনি। ইভান রাকিতিচকে ডি-বক্সের ভেতরে ডেভিড আলাবা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

৩৪তম মিনিটে গোছানো আক্রমণে গোল শোধ করে বাভারিয়ানরা। টমাস মুলারের ক্রস পা দিয়ে নামিয়ে লিওন গোরেৎস্কাকে খুঁজে নেন রবার্ট লেভানডস্কি। দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের এগিয়ে যেতে পারতো সেভিয়া। বাঁ প্রান্ত থেকে সুসোর ক্রসে পা ছুঁইয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের স্ট্রাইকার লুক ডি ইয়ং; তবে গোলপোস্টের দিকে যেতে থাকা বল অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন নয়্যার।

এরপর ১২ মিনিটের মধ্যে সেভিয়ার দুইবার জালে বল পাঠিয়েছিল বায়ার্ন; তবে তা ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি। ৫১তম মিনিটে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডস্কির লক্ষ্যভেদ অফসাইডের কারণে এবং ৬৩তম মিনিটে জার্মান উইঙ্গার লেরয় সানের গোল ফাউলের কারণে বাতিল করেন রেফারি।

মাঝে আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় গত মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জেতা বায়ার্নের। ৫৮তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সার্জ গন্যাব্রির শট গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো ফিরিয়ে দেওয়ার পর পেয়ে যান সানে, কিন্তু তাঁর শট প্রতিহত হয় সেভিয়ার রক্ষণ দেয়ালে।

৬৬তম মিনিটে আলাবার ফ্রি-কিক গোলপোস্টের খানিকটা উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। দশ মিনিট পরে লুকাস হার্নান্দেজের ভলিও লক্ষ্যে থাকেনি। ফলে, গোলের অপেক্ষায় থাকতেই হয়েছে বায়ার্নকে।

অন্যদিকে, ধারার বিপরীতে ৮৮তম মিনিটে গোল প্রায় করেই ফেলেছিল সেভিয়া। পাল্টা আক্রমণে নয়্যারকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন বদলি স্ট্রাইকার ইউসুফ এন-নেসিরি। তবে, তাঁর শট ফিরিয়ে দিয়ে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেন জার্মান তারকা।

৯০তম মিনিটে মরক্কোর এন-নেসিরি মাঝমাঠ থেকে নিয়েছিলেন শট। তাঁর উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টা অবশ্য পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি নয়্যারকে। ফলে ১-১ গোলে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে এন-নাসিরিকে ফের হতাশ করেন নয়্যার। তাঁর মাটি কামড়ানো শট বায়ার্ন-অধিনায়কের বাড়ানো পায়ে লেগে বাধা পায় পোস্টে। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে যে, অফসাইডে ছিলেন এন-নাসিরি।

৯৯তম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করা মার্টিনেজ পাঁচ মিনিটের মধ্যে জাল খুঁজে নেন। সতীর্থের কর্নার থেকে বল পাওয়া আলাবার শট বোনো রুখে দিলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন, নিখুঁত হেডে সেভিয়ার হৃদয় বিদীর্ণ করে বায়ার্নকে উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন মার্টিনেজ।

এরপর দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ এসেছিল সেভিয়ার সার্জিও এসকুদেরোর সামনে। ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন লেভানডস্কি-মুলাররাও। যাহোক, কোনো দলই সফল হতে না পারায় ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-১ গোলেই।

Loading...