loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে

  • সিটিকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে রিয়াল

  • আর্সেনালকে বিদায় করে সেমিতে বায়ার্ন

  • ‘রাজকুমার’ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডার ৭৫ থিয়েটারে

  • ভারতের বিপক্ষে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

পঞ্চমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতলো মুম্বাই


পঞ্চমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতলো মুম্বাই

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে টুর্নামেন্টের ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটাল্সকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে কাপ জিতে নেয় মুম্বাই। এই নিয়ে রেকর্ড পাঁচবার আইপিএল-এর শিরোপা ঘরে তুললো রোহিত শর্মার দল।

গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে দুবাইয়ে ফাইনাল খেলতে নামে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠা দিল্লিরও লক্ষ্য ছিল সেরার মুকুট মাথায় পড়া। সেই লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।

ইনিংসের প্রথম বলেই দিল্লির উইকেট তুলে নেন মুম্বাই পেসার নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিকে খালি হাতে বিদায় দেন বোল্ট। তৃতীয় ওভারে আবারো বোল্টের আঘাত। এবার শিকার দুই রান করা আজিঙ্কা রাহানে।

বোল্টের জোড়া আঘাতের পরে দিল্লির চাপ আরও বাড়িয়ে দেন এবারের আসরে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা অফ-স্পিনার জয়ন্ত যাদব। ইনফর্ম শিখর ধাওয়ানকে ১৫ রানেই বিদায় দেন জয়ন্ত। ফলে ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই মহাচাপে পড়ে দিল্লি। এ-অবস্থায় চাপমুক্ত হয়ার আশায় ছিল দল। আর সেই কাজটি দক্ষতার সাথেই করেছেন দিল্লির দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান অধিনায়ক আইয়ার ও উইকেটরক্ষক রিশভ পান্থ। মুম্বাইয়ের বোলারদের সর্তকতার সাথে খেলে উইকেটে সেট হন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে রানের গতি বাড়িয়েছেন আইয়ার ও পান্থ। চতুর্দশ ওভারে দিল্লিকে শতরানে পৌঁছে দেন তাঁরা।

৩৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন পান্থ। তাঁকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন মুম্বাইয়ের পেসার অস্ট্রেলিয়ান নাথান কল্টার নাইল। ৩৮ বলে চারটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৫৬ রান করেছেন পান্থ। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ বলে ৯৬ রান যোগ করেন পান্থ-আইয়ার।

পান্থ ফিরে গেলে শেষ পাঁচ ওভারে বেশি রান করতে পারেননি আইয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিম্রোন হেটমায়ার ও অক্ষর প্যাটেল ডেথ ওভারে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অন্যপ্রান্তে সতীর্থদের সহায়তায় দিল্লিকে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি এনে দেন আইয়ার। ৫০ বলে ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কায় অপরাজিত ৬৫ রান করেছেন তিনি। 

মুম্বাইয়ের বোল্ট চার ওভারে ৩০ রানে তিন উইকেট পেয়েছেন। নাইল দুই ও জয়ন্ত এক উইকেট পান।

১৫৭ রানের টার্গেটে মারমুখী মেজাজে শুরু করে মুম্বাই। চার ওভারে ৪৫ রান করেন দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই ব্রেক-থ্রু এনে দেন দিল্লির স্টয়নিস। ১২ বলে ২০ রান করেন ডি কক।

ডি কককে হারালেও, রানের চাকা দ্রুত ঘুরিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চাপ অব্যাহত রাখেন রোহিত। সঙ্গী ছিলেন ইনফম সূর্যকুমার যাদব। ১০ ওভারে ৮৮ রানে পেয়ে যায় মুম্বাই। একাদশ ওভারে রোহিতের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন ১৯ রান করা সূর্য।

এরপর ৩৬ বলে এবারের আসরে তৃতীয় অর্ধশত রানের দেখা পান আইপিএল-এ ২০০তম ম্যাচ খেলতে নামা রোহিত। হাফ-সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে থামতে হয়েছে তাঁকে। ৫১ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬৮ রান করা রোহিত শিকার হন দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিচ নর্টির।

এরপর আরও দুই উইকেট হারায় মুম্বাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড নয় ও হার্ডিক পান্ডিয়া তিন রান করেন। তবে আট বল বাকী রেখেই জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি মুম্বাইয়ের। ইষান কিশান ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাত ধরে শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে দলটির।

তৃতীয় উইকেটে রোহিতের সাথে ৪৭ রান যোগ করা কিশান ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ১৯ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা ছিলো। ক্রুনালের ব্যাট থেকে এসেছে জয়সূচক রানটি। ফলে, এক রানেই অপরাজিত থেকেছেন তিনি। 

ফাইনালে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন মুম্বাইয়ের বোল্ট। টুর্নামেন্ট-সেরা হন রাজস্থান রয়্যাল্সের জোফ্রা আর্চার। 

প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের লোকেশ রাহুল। ১৪ ম্যাচে ৬৭০ রান করেছেন তিনি। ১৭ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী দিল্লির দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় কাগিসো রাবাদা।

Loading...