loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সাকিবকে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রেপ্তার


সাকিবকে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রেপ্তার

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হত্যার হুমকি দেওয়া মহসিন তালুকদারকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-গণমাধ্যম) ওবাইন মিডিয়াকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মহসিনকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

এর আগে সোমবার রাতে জালালাবাদ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা করে। সাকিবকে হত্যার হুমকি দেওয়া ভিডিওটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মুখে মহসিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

সংবাদে প্রকাশ, মহসিন তালুকদার সিলেট সদর উপজেলার শাহপুর তালুকদারপাড়া গ্রামের আজাদ বক্স তালুকদারের ছেলে। গত শনিবার রাত ১২টার পরে তিনি তাঁর ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন। সম্প্রতি কলকাতায় কালীপূজার একটি অনুষ্ঠানে সাকিবের উপস্থিতির কারণে তাঁকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন এই ব্যক্তি। এরপর ভোর ছয়টার দিকে আবারও লাইভে এসে তিনি আগের ভিডিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সাকিব আল হাসানকে জাতির উদ্দেশে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে গতকাল সাকিব কলকাতায় পূজার আয়োজনে অংশ নেওয়া এবং দেশে তাঁর একজন ভক্তের মোবাইল ভাঙার বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সাকিব বলেছেন, কলকাতায় তিনি পূজা উদ্বোধন করতে যাননি।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান মনে করি। আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুলত্রুটি হবেই, ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ... খবর কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম – সবখানে এসেছে, আমি নাকি পূজার উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আমি কখনোই পূজার উদ্বোধন করিনি বা উদ্বোধন করতে যাইনি।’

কলকাতায় সাকিব যেখানে গিয়েছিলেন, তার পাশেই পূজামণ্ডপ ছিল বলে জানান তিনি। নিজের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আয়োজকদের অনুরোধেই নাকি সেখানে যেতে হয়েছে তাঁকে..., ‘অনেক সাংবাদিক ভাইবোনেরা ওখানে ছিলেন। আপনারা ইনভাইটেশন কার্ডও যদি দেখেন, তাতেই লেখা আছে কে উদ্বোধন করেছেন। যেখানে আমাদের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেটি পূজামণ্ডপ ছিল না। পাশে আরেকটি মঞ্চ ছিল, পুরো অনুষ্ঠানটি সেখানে হয়েছে। ৪০-৪৫ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম এবং সেখানে ধর্ম-বর্ণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে যখন গাড়িতে উঠতে হবে, যেহেতু পাশেই পূজার আয়োজন ছিল, অনেকগুলো রাস্তা বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে মণ্ডপ পেরিয়ে আমাকে যেতে হতো। যাওয়ার সময় পরেশ দা, যিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁর আমন্ত্রণে আমি প্রদীপ প্রজ্বালন করি।’

বেনাপোল বন্দর হয়ে কলকাতায় যাওয়ার পথে সাকিব একজন ভক্তের মুঠোফোন ছুড়ে ফেলেছিলেন – এমন অভিযোগও আছে। এটারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার: 

‘যাঁর ফোন ভাঙা নিয়ে কথা হচ্ছে, তাঁর ফোনটা কখনোই ইচ্ছেকৃতভাবে ভাঙিনি। যেহেতু করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি আছে..., সেটা মেনে চলার চেষ্টা করছিলাম। কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রেখে চলা যায় – সেটা চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু অনেক মানুষ ছিল এবং ভিড় ছিল, সবাই চেষ্টা করছিল ছবি তুলতে। আমিও চেষ্টা করছিলাম কিভাবে তাঁদের কাছে না গিয়ে আমার কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে পারি, ইমিগ্রেশনের। একজন একদম আমার শরীরের উপর দিয়ে এসে ছবি তুলতে চায়। আমি তাঁকে সরিয়ে দিতে গেলে তাঁর হাতের সঙ্গে আমার হাত লেগে ফোনটি পড়ে যায়। পরে হয়তো ভেঙেও গেছে। তাঁর ফোন ভাঙার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমার মনে হয়, তাঁরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। করোনার সময়ে সবারই সেটা করা উচিত।’

Loading...