loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি: ঢাকাকে বিদায় করে ফাইনালে চট্টগ্রাম


বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি: ঢাকাকে বিদায় করে ফাইনালে চট্টগ্রাম

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বেক্সিমকো ঢাকা: ১১৬/১০, ২০ ওভার (মুশফিক ২৫, আল-আমিন ২৫, মুস্তাফিজ ৩/৩২)
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ১১৭/৩, ১৯.১ ওভার (লিটন ৪০, মিঠুন ৩৪, আল-আমিন ১/৪)
ফলাফল: গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম সাত উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মুস্তফিজুর রহমান (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)

বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম সাত উইকেটে হারায় মুশফিকুর রহিমের ঢাকাকে।

প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে খুলনার প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম।

মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করা ঢাকাকে ১১৬ রানে অলআউট করেন চট্টগ্রামের বোলাররা। চট্টগ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান ৩২ রানে তিন ও শরিফুল ইসলাম ১৭ রানে দুই উইকেট শিকার করেন। জবাবে পাঁচ বল বাকী রেখে ও তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে ফাইনালের টিকিট পায় চট্টগ্রাম।

এলিমিনেটর ম্যাচে সোমবার প্রথমে ব্যাট করে ১৫০ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছিলো ঢাকা বেক্সিমকো। তাই এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা।

হার্ড-হিটার সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস শুরু করেন মুক্তার আলী। এদিন বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। সাব্বির ১১ বলে ১১ রান করে চট্টগ্রামের পেসার শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন। অফ-স্পিনার নাহিদুল ইসলামের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত সাত রানে আউট হন মুক্তার। ১৯ রানেই পরপর দু’বলে আউট হন দুই ওপেনার।

দুই ওপেনারকে হারানোর পরে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নাইম ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। উইকেট বাঁচিয়ে খেলে দলের স্কোর হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দেন নাইম-মুশফিক। তবে দু’জনই বেশ ধীর গতিতে এগিয়েছেন।

নবম ওভারের তৃতীয় বলে লিগ পর্বে শতরান করা নাইমকে ১২ রানে আটকে ফেলেন চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।

দলীয় ৫০ রানে নাইমের বিদায়ের পরে মুশফিকের সঙ্গী হন ইয়াসির আলি। দু’জনের কাছে বড় জুটির প্রত্যাশা ছিল দলের; কিন্তু সেটি হতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন। দুইটি চারে ৩১ বলে ২৫ রান করা মুশফিকের শিকারী হন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন।

চতুর্দশ ওভারে দলীয় ৭৫ রানের মুশফিকের আউটের পরে ইয়াসির ও আকবরও ব্যর্থ হন। ফলে ঢাকার বড় স্কোরের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের তিন উইকেট শিকারে ১১৬ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় ঢাকা।

ঊনবিংশ ওভারে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে আল-আমিনকে ও তৃতীয় বলে নাসুমকে শিকার করেন তিনি। তার আগে ইয়াসির শিকার হয়েছিলেন ফিজের।

ইয়াসির ২১ বলে ২৪ ও আল-আমিন ১৮ বলে ২৫ রান করেন। মুস্তাফিজ চার ওভারে ৩২ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।

ফাইনালে উঠতে ১১৭ রানের টার্গেট পায় চট্টগ্রাম। পাওয়া-প্লেতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ছয় ওভারে ৪২ রান করেন তাঁরা।

সপ্তম ওভারের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সৌম্য। পাঁচটি চারে ২৩ বলে ২৭ রান করেন তিনি।

সতীর্থকে হারানোর পর দলকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দায়িত্ব নেন লিটন ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। সর্তকতার সাথে এগোতে থাকেন তাঁরা। তাই ১০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৫৯।

১৫ ওভার শেষেও অবিচ্ছিন্ন থাকেন লিটন ও মিঠুন। তখন রান ছিল ৯০। তবে অষ্টাদশ ওভারের প্রথম বলে বিদায় ঘটে লিটনের। অফ-স্পিনার আল-আমিনের বলে সাব্বিরকে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন লিটন-মিঠুন। খেলেছেন ৬১টি বল। চারটি চারে ৪৯ বলে ৪০ রান করেছেন লিটন।

লিটন যখন ফেরেন, তখন জয় থেকে ১৬ রান দূরে ছিল চট্টগ্রাম; বল ছিলো ১৭টি। এই সহজ কাজটি সম্পন্ন করেই মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিলো অধিনায়কের; কিন্তু সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তিনি।

ঊনবিংশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মুক্তার আলিকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছেই সাব্বিরের তালুবন্দি হন মিঠুন। আগের বলেই এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন মিঠুন।

৩৫ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রান করে আউট হন মিঠুন। এরপর দলের প্রয়োজনীয় নয় রান করেছেন শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক। শামসুর আট ও মোসাদ্দেক দুই রানে অপরাজিত ছিলেন।

Loading...