loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতলাে খুলনা


বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতলাে খুলনা

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জেমকন খুলনা: ২০ ওভারে ১৫৫/৭ (মাহমুদউল্লাহ ৭০*, জাকির ২৫, আরিফ ২১, ; নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, মোসাদ্দেক ১/২০, মোস্তাফিজ ১/২৪)
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ২০ ওভারে ১৫০ (সৈকত ৫৩, লিটন ২৩, শামসুর ২৩; শুভাগত ১/৮, আল-আমিন ১/১৯, হাসান ১/৩০, শহিদুল ২/৩৩)
ফলাফল: জেমকন খুলনা পাঁচ রানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)
টুর্নামেন্ট-সেরা: মোস্তাফিজুর রহমান (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে পাঁচ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতেছে জেমকন খুলনা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাহমুদউল্লাহদের ছুড়ে দেওয়া ১৫৬ রানের জবাবে ১৫০ রানে থেমেছে চট্টগ্রামের ইনিংস।

ব্যক্তিগত কারণে ফাইনালে ছিলেন না দলের বড় তারকা সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে অফ-ফর্মে ছিলেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা। যাহোক, অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে খুলনাকে পথ দেখালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরে, বল হাতে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন শুভাগত হোম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ ও শহিদুল ইসলামরা; আর এতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে খুলনা।

অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সেরা ফর্মে থাকা চট্টগ্রামের শেষটা আশানুরূপ হলো না। অথচ গ্রুপ পর্বে এই দলটিই আট ম্যাচের সাতটিতে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল। এমনকি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ও উইকেটের মালিকও চট্টগ্রামেরই। কিন্তু ছয় পয়েন্ট কম নিয়ে গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনাই শেষে এসে বাজিমাত করলাে।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দেখেশুনে খেলার পথ ধরেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তবে তাঁদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দলকে ২৬ রানে রেখে শুভাগতের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য (১২)। এর আগে ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় অবশ্য একবার ক্যাচ তুলেও ইমরুল কায়েসের কল্যাণে জীবন পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পরে সাত রান করে বিদায় নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দলের অর্ধশত রান পার হওয়ার পরে রান আউটের শিকার হন লিটন দাস (২৩)। অবশ্য অন্যপ্রান্তে সৈকত আলী ততক্ষণে সেট হয়ে গেছেন। প্রথমে শামসুর রহমানকে (২৩) নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এরপর মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে ছুটতে থাকেন এই তরুণ। ৪১ বলে ফিফটিও তুলে নেন।  

ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে ওঠা সৈকত ও মোসাদ্দেক শেষ দুই ওভারে করেন ২৪ রান। শেষ ওভারে জেতার জন্য চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম দুই বলে আসে তিন রান। তৃতীয় বলে শহিদুলের ফুলটসে টাইমিংয়ে গরমিল করে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মোসাদ্দেক। পরের বলে বিদায় নেন চট্টগ্রামের শেষ ভরসা সৈকতও (৪৫ বলে ৫৩ রান)। শেষ বলে অবশ্য ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নাহিদুল; কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।

দুই উইকেট তুলে নেন খুলনার শহিদুল। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শুভাগত, আল-আমিন ও হাসান। এর মধ্যে আল-আমিন চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৯ রান। আর শুভাগত দুই ওভারে খরচ করেছেন মাত্র আট রান। কিন্তু দলের অন্যতম বড় ভরসা মাশরাফি চার ওভারে ৪০ রান খরচে ছিলেন উইকেটশূন্য।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫৫ রান করে জেমকন খুলনা।  ইনিংসের প্রথম বলেই জহরুল ইসলাম অমির উইকেট হারায় খুলনা। জাকির হাসান (২৫) ও ইমরুল কায়েসও (৮) খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তবে সেখান থেকেই আরিফুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের রানের চাকা সচল রাখতে সচেষ্ট হন। যদিও আরিফুল (২১) ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি।  

শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ ব্যাট চালিয়ে রান করার চেষ্টা করেন। তবে অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। শুভাগত হোম (১৫), শামিম হোসেন (০), মাশরাফি (৫) ব্যর্থ হলে অল্প রানেই থামার শঙ্কা ভর করেছিল খুলনা শিবিরে। তবে ওই অবস্থায়ও ৩৯ বলে অর্ধশত রান তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৮ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন, যেখানে ছিল আটটি চার ও দুইটি ছক্কা। তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসও এটি।

চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দুইটি, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

ম্যাচ-সেরা নির্বাচিত হয়েছেন খুলনার মাহমুদউল্লাহ।

প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ শিকারী হয়েছেন তিনি।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাস। ১০ ইনিংসে ৩৯৩ রান করেছেন তিনি। আসরে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ অনবদ্য ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২৪ রান করেছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক টুর্নামেন্টে নয় ইনিংসে দুইটি হাফ-সেঞ্চুরিও করেছেন।

আট ইনিংসে ৩০১ রান করে তালিকার তৃতীয় স্থানে মিনিস্টার রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারের আসরের প্রথম শতরানের মালিক শান্তই। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তাঁর সেঞ্চুরিটি এসেছিলো। ঐ ম্যাচে ১০৯ রান করেন তিনি। সেঞ্চুরি ছাড়াও দু’টি অর্ধশত ছিল এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের।

Loading...