loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেয়েছে ১৯ প্রতিষ্ঠান


রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেয়েছে ১৯ প্রতিষ্ঠান

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ পেয়েছে দেশের ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহৎ শিল্প বিভাগে চারটি, মাঝারি শিল্প বিভাগে চারটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, মাইক্রো শিল্প বিভাগে তিনটি, কুটির শিল্প বিভাগে তিনটি ও হাই-টেক শিল্প বিভাগে দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮ প্রদান করা হয়।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। শিল্প সচিব কে এম আলী আজম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহৎশিল্প বিভাগে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পুরস্কার লাভ করে।

মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তাফরিদ কটন মিল্স লিমিটেড, শেলটেক টেকনোলোজি লিমিটেড, অকো-টেক্স লি. ও মেসার্স এনভয় ফ্যাশন লি. পুরস্কার লাভ করে। অন্যদিকে, ক্ষুদ্রশিল্প বিভাগে কনসেপ্ট নিটিং লিমিটেড, এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস্ লি. ও সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লি. পুরস্কার লাভ করে।

মাইক্রো শিল্প বিভাগে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ, মাসকো ওভারসিস্ লিমিটেড ও ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড লি. পুরস্কার লাভ করে। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস্ বিডি, ইন্টেলিডেন্ট কার্ড লি. ও রূপকথা যুব ও মহিলা উন্নয়ন সংস্থা পুরস্কার লাভ করে। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড ও মেটাটিউড এশিয়া লি: পুরস্কার লাভ করে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বিশ্বঅর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতি, এসডিজি ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বিবেচনা করে জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ-লক্ষ্যে, শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে নতুন শিল্পনীতি প্রণয়নের কাজও শুরু করেছে।

তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পিত ও সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি বিশ্বমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেটাবেইজ এবং শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শিল্পখাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্পসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়নে সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ। শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে কিভাবে সাফল্যের লক্ষ্যে পৌঁছুতে হয়, আজকের বাংলাদেশ তা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। প্রতিমন্ত্রী পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশিয় পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত করার জন্য পুরস্কারজয়ীদের প্রতি পরামর্শ দেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন এবং উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নতুন প্রযুক্তি সন্নিবেশ করার জন্যও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যাংকগুলোর গতানুগতিক মাইন্ডসেটের পরিবর্তন করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

শিল্পসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে শিল্প বিনিয়োগনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পখাতকে নীতি সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রূপকল্প-২০৪১ অনুসারে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সর্বাধিক – এ-কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনে শিল্প মন্ত্রণালয় আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের হেড অফ লিগ্যাল এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মুবিনা আসাফ ও ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা বেগম সাহিদা পারভীন তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

মুবিনা আসাফ বলেন, সরকারের এ-ধরনের উদ্যোগ বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে, যা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বেগম সাহিদা পারভীন বলেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করলে দেশের অর্থনীতি অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে।

Loading...