loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৫৬৫৯ কোটি টাকা অনুমোদন


কোভিড-১৯ প্রতিরোধ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৫৬৫৯ কোটি টাকা অনুমোদন

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্রয় ও ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রেপার্ডনেন্স প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো – কোভিড-১৯ সনাক্ত ও নিশ্চিতকরণ, ভ্যাকসিন ক্রয় ও সংরক্ষণ এবং বিতরণসহ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা জোরদারের মাধ্যমে মহামারি মোকাবেলা করা।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রেপার্ডনেন্স প্রকল্পের জন্য এই অতিরিক্ত অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক-এ অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে ব্রিফ করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার একনেক সভায় কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্রেপার্ডনেন্স প্রকল্পসহ মোট ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৬৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৮৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫ হাজার ৭০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে তিনটি নতুন প্রকল্প রয়েছে এবং বাকি তিনটি সংশোধিত প্রকল্প।

কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্রেপার্ডেন্স মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ, সেটা এখন ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিতরণের পাশাপাশি আরটি পিসিআর কিট, এন্টিজেন কিট ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় করা হবে। এছাড়া, ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিনসহ ল্যাব স্থাপন করা হবে।

তিনি আরও জানান, ১০ শয্যাবিশিষ্ট ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও ৪৩ জেলার সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের অর্থে দেশের পাঁচটি ইমিগ্রেশনে সাতটি মেডিকেল স্ক্রিনিং ইউনিট স্থাপন করা হবে, যার মধ্যে তিনটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত, সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে একটি করে ইউনিট স্থাপন করবে সরকার। এর পাশাপাশি ১০টি জেলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে কোভিড মহামারি মোকাবেলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে। আমরা প্রস্তুত আছি এবং আশা করি সময়মত ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো।’

ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কোথাও যেন কোনোরকম অব্যবস্থাপনা তৈরি না হয়, এজন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করা হবে করা হবে বলে তিনি জানান।

Loading...