লিওনেল মেসি আবার দুই গোল করলেন। আঁতোয়ান গ্রিজমানও করেছেন দু’টি। পাশাপাশি তিনি অবদান রাখলেন সতীর্থের গোলেও। তাঁদের নৈপুণ্যে গ্রানাডাকে ৪-০ গােলে পরাজিত করে লা লিগায় টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেলো বার্সেলোনা।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের মাঠ লস কারমেনেসে জিতে এসেছেন রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা। স্পেনের শীর্ষ লিগে সবশেষ আট ম্যাচে এটি ক্লাবটির ষষ্ঠ জয়। ফলে, পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে মৌসুমের শুরুতে ধুঁকতে থাকা দলটি।
এদিনের ফলাফল একপেশে হলেও প্রথমার্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলেছে স্বাগতিক ক্লাব। পুরো ম্যাচে বার্সার গোলমুখে দলটি নিয়েছে আটটি শট। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। বলা বাহুল্য, গোল হয়নি। অন্যদিকে, সফরকারী দলের নেওয়া ১৩ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি।
দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারতো বার্সা। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ভুলে বল পেয়ে আক্রমণে ওঠা গ্রানাডার আন্তোনিও পুয়ের্তাস শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টার স্টেগান।
এর মিনিট দশেক পরে এগিয়ে যায় ক্যাটালান দলটি। সার্জিও বুসকেতসের বাড়ানো বল গ্রানাডার রবার্টো সলদাদোর শরীরে লাগলে ডি-বক্সের ভেতরে পেয়ে যান গ্রিজমান। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড (১-০)। সহকারী রেফারি প্রথমে অফসাইডের পতাকা তুললেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
চার মিনিট পরে উসমান ডেম্বেলের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি বার্সার। কিছু সময় পর সার্জিনো দেস্তের ক্রস পোস্টের অনেক উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
এ-সময় সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে গ্রানাডা। নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও বার্সেলোনার রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখে দলটি। যাহোক, তাঁদের লড়াইয়ে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় ৩৫তম মিনিটে। গ্রিজমানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে পা পায়ের শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক রুই সিলভাকে পরাস্ত করেন মেসি (২-০)।
সাত মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। নিখুঁত ফ্রি-কিকে চলতি লিগে নিজের একাদশ গোলটি করেন মেসি। তিনিই এখন অবস্থান করছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে। ফ্রি-কিক থেকে গত জুলাইয়ের পরে প্রথমবারের মতো লক্ষ্যভেদ করলেন ৩৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা।
৫১তম মিনিটে পুয়ের্তাসের আরেকটি দুর্বল প্রচেষ্টা রুখে দেন টার স্টেগান। পাঁচ মিনিট পরে বার্সার ডাচ মিডফিল্ডার ডি ইয়ংয়ের শট লক্ষ্যে থাকেনি। ৬৩তম মিনিটে হতাশ হতে হয়নি অতিথি দলকে। স্বদেশি ডেম্বেলের বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জাল কাঁপিয়ে দেন গ্রিজমান।
ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় মেসিকে তুলে নেন কোমান। তারপরও গ্রানাডার ভোগান্তি শেষ হয়নি। ৭৮তম মিনিটে মার্টিন ব্র্যাথওয়েটকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন হেসুস ভালেহো।
১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। সমান-সংখ্যক ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষে থাকা অ্যাটলটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৮। অবশ্য ক্লাবটি তিন ম্যাচ কম খেলেছে।
