ইন্দোনেশিয়ার সুলাওসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আট শতাধিক। তাঁদের বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকবার আফটার শক (ভূমিকম্প-পরবর্তী ঝাঁকুনি) অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে তিনশ’র বেশি বাড়ি, দুইটি হোটেল, একটি হাসপাতাল, স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে এলেও আমরা এখনও কম্পন অনুভব করছি।’
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৪২ জনের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে মামুজু জেলায়। বাকী মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে পার্শ্ববর্তী মাজেনে জেলা থেকে। এই ঘটনায় ৮২০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত সুনামির কোনো সতর্কতা জারি না করা হলেও, ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও জিওফিজিক্স এজেন্সির (বিএমকেজি) প্রধান দিকোরিতা কর্নাবতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আফটার শক পরবর্তী আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সুনামি হতে পারে।