loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

পৌরসভা ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন


পৌরসভা ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো ছিল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনারাই ভোট কেন্দ্রে প্রচুর ভোটার উপস্থিতি দেখিয়েছেন। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মানুষ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।’ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘দুই-একটি ঘটনা যা ঘটেছে – তা একেবারেই নগণ্য বলা যেতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী আছে – যাঁরা সব সময় এমনটা ঘটিয়ে থাকে। দুষ্কৃতিকারীরা চেষ্টা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুন্ন করতে। তাঁরা নির্বাচনের কাজকে বিঘ্ন ঘটাতে চালিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তাঁদেরকে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’

তিনি জানান, ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার একটি কেন্দ্রে দুষ্কৃতকারীরা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাঁরা ব্যালট পেপার নিতে পারেনি। তবে, ব্যালট বাক্স যেহেতু ভেঙে গেছে প্রিজাইডিং অফিসার ওই নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন। কিশোরগঞ্জের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানকার ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ৬০টি পৌরসভার সব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, ‘সাড়ে ৬০০ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুই-একটি কেন্দ্রে সহিংসতার তথ্য পেয়েছি। এটি বড় কিছু নয়।’

ভোটের শতকরা হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ-পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ইভিএম-এ সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ব্যালটে যে-তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। অবশ্য এটি চুড়ান্ত হিসেব নয়। সার্বিক হিসেবে থেকে ৭০-৭৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।

সচিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আর নিরপেক্ষ নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। নির্বাচনে যদি কেউ না আসে, তাহলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে আসা, না আসার বিষয়টি রাজনৈতিক দলের একটি কৌশল হতে পারে।

Loading...