পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এই ধাপে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে কমিশন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এই তফসিল ঘোষণা করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তফসিল অনুযায়ী এসব পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
পঞ্চম ধাপে যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হবে সেগুলো হলো – চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, মিরসরাই ও বারইয়ারহাট, লক্ষ্মীপুরে রায়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও জামালপুর সদর, রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর, বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, চাঁদপুরের মতলব ও শাহরাস্তি, যশোরের কেশবপুর ও যশোর সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও মাদারীপুর সদর, রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ ও মহেশপুর, জয়পুরহাটের জয়পুরহাট সদর, ময়মনসিংহের নান্দাইল, ভোলার জেলার ভোলা সদর এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ।
এই ধাপের সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ ভোটগ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে না। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইভিএম-এ ভোট প্রদানে মানুষের আস্থা বেড়েছে। ইভিএমে ভোট সুন্দর হয়। যে-কারণে তাঁরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।’
নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় কিছু লোক থাকে – যাঁরা ভালো বিষয়কে ভালোভাবে দেখতে চায় না। কোনো কিছু ভালো হচ্ছে দেখলেই তাঁরা উশৃঙ্খল আচরণ করে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। তবে, এগুলো নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নয়। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো।’
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএম-এ ভোট হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।
