বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-তে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ (১৯-২৫ জানুয়ারি) উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ-ব্লকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে এই সপ্তাহ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।
উদ্বোধন শেষে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি উন্নয়নবিষয়ক একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক ডেটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসাইন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকা আক্তার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
মো. আলী নূর বলেন, বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সারের মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলেও, অসাধ্য নয়। তিনি বলেন, সমন্বিতভাবে এই রোগ দু’টি মোকাবেলা করাসহ কিশোরীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তৃতা করেন বিএসএমএমইউ-এর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আশরাফুন্নেসা।
সভায় বক্তারা স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে সমন্বিত কার্যক্রমের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন।
স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে রোগ দু’টি চিহ্নিত করা, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা, প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং কার্যক্রমের বিস্তৃতি, প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।
সভায় ভার্চুয়ালি ও সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।