প্রতীকী ছবি
ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন‘কোভিশিল্ড’এর প্রথম চালান খুব শিগগিরই পাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বাণিজ্যিকভাবে ভ্যাকসিন রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আগামী সপ্তাহ ও মাস থেকে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো ও মায়ানমারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ভারত।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থসহ বিভিন্ন মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে শ্রীবাস্তব বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন রেখে চুক্তি অনুযায়ি পর্যায়ক্রমে এ-সকল দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জি টু জি, জি টু বি, এবং বি টু বি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেশগুলোতে সরবরাহ করা হবে।
পাকিস্তান ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের কাছে আনুরোধ করেছে কি-না - জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, দেশটি জি টু জি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পেতে ভারতের কাছে আবেদন করেছে কি-না, সেটি তাঁর জানা নেই।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোকে করোনা-ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ২০ লাখ, নেপালে ১০ লাখ, ভুটানে দেড় লাখ, মালদ্বীপে এক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মিয়ানমারকে ১৫ লাখ ডোজ পাঠানো হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর দেশ শুক্রবার থেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করেছে।