সারাবিশ্বে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯ রোগ) আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে মারা গেছেন ২১ লাখের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ কোটি লোক। এছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় পাঁচ কোটি ৪১ লাখ মানুষ। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ-তথ্য জানিয়েছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিসোর্স সেন্টারের শনিবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নয় কোটি ৮১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯৬ জন এবং মারা গেছেন ২১ লাখ ছয় হাজার ৬৩০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ জন।
করোনাভাইরাসে এ-পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৪৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৪ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ ১৪ হাজার চার জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৯২০ জন, মারা গেছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ২৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৪ জন।
সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় ও মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ছয় লাখ ২৫ হাজার ৪২৮ জন, মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক কোটি দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭০৮ জন।
মৃতের সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনা-আক্রান্ত হয়ে এ-পর্যন্ত এক লাখ ৪৭ হাজার ৬১৪ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৪০ জন।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৮৬ জন, মারা গেছেন চার হাজার ৮০৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯১ হাজার ৫২৬ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ-পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৯৮১ জনের। সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৫৬১ জন।