আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ঘরোয়া লিগের শুরুটা ভালোই হলো স্পেনের লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের। শনিবার (৩ এপ্রিল) এইবারকে ২-০ গোলে পরাজিত করে লা লিগায় শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের উপর চাপ আরও বাড়ালো জিনেদিন জিদানে দল। সেই সাথে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখে রিয়ালের জন্য এই জয়টা জরুরি ছিল। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল। এরপর আগামী সপ্তাহে মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্ল্যাসিকোতো বার্সেলোনাকে আতিথ্য দেবে।
শনিবারের ম্যাচে রিয়ালের গোল দুটো করেছেন মার্কো আসেন্সিও ও করিম বেনজেমা। এই জয়ে অ্যাটলেটিকোর সাথে রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন।
রোববার রাতে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে অ্যাটলেটিকো। ক্লাবটি চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা সোমবার ক্যাম্প নিউতে রিয়াল ভায়াদোলিদকে আতিথেয়তা দেবে।
অনেকটা বদলে যাওয়া মূল একাদশ নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিলেন জিদান। যদিও এটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি। রাফায়েল ভারানে ও টনি ক্রুস ছিলেন বদলি বেঞ্চে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়ে পেশির সমস্যায় পড়ায় একটু আগেভাগেই মাদ্রিদে ফিরে এসেছিলেন ক্রুস। সার্জিও রামোস, ডানি কারভাহাল ও এডেন হ্যাজার্ড ইনজুরিতে পড়ে পুরো স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন।
লিভারপুলের বিপক্ষে এঁদের দলে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অনেকটাই অস্বস্তিতে থাকা এইবারের বিপক্ষে জিদান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি বেঞ্চ থেকে মাঠে নামান লুকা মড্রিচ, বেনজেমা ও আসেন্সিওকে।
গত ১০ ম্যাচে ১১ গোল করা বেনজেমার উপরই মাদ্রিদের সেমিফাইনালে যাওয়া ও বার্সেলোনাকে হারানোর ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে। এদিন তাঁকে বেশ সতেজ দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক দল থেকেও তাঁর বাদ পড়াটা রিয়ালের জন্য ভালোই ছিল।
তবে, শনিবারের ম্যাচে নিঃসন্দেহে জয়ের নায়ক ছিলেন আসেন্সিও। আক্রমণভাগে তাঁর দুর্দান্ত নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত দলকে জয় উপহার দিয়েছে। রিয়ালের তিনটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের ঊনবিংশ স্থানে থাকা এইবার বড় পরাজয়ের লজ্জা থেকে রক্ষা পায়।
বেনজেমা দুইবার গোল করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু মার্সেলোর ক্রস থেকে তাঁর প্রথম গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর ফ্রি-কিক থেকে ক্রসবারে বল লাগান আসেন্সিও। এরপর ইস্কোর গোল আবারো অফসাইডের কারণে নাকচ হয়ে যায়। যদিও তারপরেও মাদ্রিদ চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে। মধ্যমাঠে পেডে ডিপোর পাস ক্যাসেমিরো ছিনিয়ে নিয়ে আসেন্সিওর দিকে বাড়িয়ে দেন। সহজ ফিনিশিংয়ে ৪১ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে একটি ব্যাক-পাস থেকে ভুল বোঝাবুঝিতে রিয়ালকে কোনোমতে গোল হজম থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ক্যাসেমিরো গোল এরিয়ার বাইরে থেকে কার্লিং শটে বল জালে জড়ালেও আবারো অফসাইড বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য ৭৩ মিনিটে ভিনসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে বেনজেমা ভুল করেননি। তাঁর গোলেই রিয়ালের পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়।
