loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু


এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ-বিষয়ে গত সোমবার প্রজ্ঞাপনে জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে বাইরে যেতে হলে অনলাইনে মুভমেন্ট পাশ নিয়ে তবেই বের হওয়া যাবে। movementpass.police.gov.bd এই লিংকে গিয়ে ওষুধ, চিকিৎসা, কৃষিপণ্য পরিবহন, চাকরিসহ ১৪টি ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের পর শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।

নতুন করে সরকারঘোষিত এক সপ্তাহের বিধি-নিষেধের প্রথমদিনে রাজধানীর সর্বত্র কঠোরভাবেই লকডাউন পালিত হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই নগরবাসীকে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে রাজধানীর পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথের প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন কোনো ছিল না। প্রায় প্রতিটি যানবাহনকে থামিয়ে থামিয়ে কি প্রয়োজনে কোথায় যাচ্ছেন, তা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন নিশ্চিত হলে মামলা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।

নগরীর অধিকাংশ রাস্তায় পুলিশের টহল ভ্যান ও সাইরেন বাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দেখা গেছে। রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ব্যারিকেড দিয়ে টহল বসিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের জেরা করতে দেখা গেছে। তবে, যাঁরা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন বলে প্রমাণ দেখিয়ে যেতে পারছেন।

সোমবার জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, করোনার বিস্তার রোধে সাত দিনের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি পণ্য পরিবহন করা যাবে; উৎপাদন ব্যবস্থা চালু থাকবে; জরুরিসেবা দেয়া যাবে। শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রাখতে পারবে। সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্তস্থানে কাঁচাবাজার খোলা থাকবে এবং বাজার করা যাবে।

জরুরি পরিষেবার মধ্যে রয়েছে – কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম চলবে। টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি) সেবা দেওয়া যাবে। গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) কর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার সংশ্লিষ্ট কাজ করা যাবে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে।

সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। এ-সময়ের মধ্যে জনসাধারণকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখতে হবে।

Loading...