বিশ্বে শনিবার (১৭ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে বিশ্বে টিকাদান কর্মসূচি যেমন চলছে, তেমনি ভারতের মতো কোনো কোনো দেশে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি চলছে লকডাউন জারির কাজ।
চীনের উহানে ২০১৯ সালে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর, বিশ্বে এ-পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
করোনার কারণে দেশে দেশে কর্তৃপক্ষ লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছে। এতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
এদিকে ভারতে প্রতিদিনের সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে । দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে কঠোর লকডাউন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ল্যাটিন আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠলেও কিছুটা আশার কথা শোনা যাচ্ছে ইউরোপ থেকে। মহাদেশটির কিছু কিছু দেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। ইতালিতে শুক্রবার এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে স্কুল ও রেস্টুরেস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
এছাড়া, ব্রিটেনেও জারি থাকা কঠোর লকডাউন পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়া হচ্ছে। জার্মানি গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যকে করোনাভাইরাস ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর অর্থ হলো – যুক্তরাজ্য থেকে আসা ভ্রমণকারীদের আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
