loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের পথে ম্যানসিটি


পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের পথে ম্যানসিটি

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে পিএসজিকে হারিয়েছে ম্যান সিটি। মার্কুইনোসের লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে গেলে সমতা টানেন কেভিন ডি ব্রুইনা। জয়সূচক গোলটি এসেছে রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি-কিক থেকে।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে প্রথমার্ধে দাপট ছিল পিএসজি’র। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দলটি ব্যতিব্যস্ত রাখে সিটির রক্ষণভাগকে। বল হারালে দ্রুত তা দখলে নেয় দলটি। ফলে সিটিজেনদের পক্ষে গুছিয়ে খেলা কঠিন হয়ে উঠেছিল। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে যায় চিত্র। উজ্জীবিত প্রতিপক্ষের সামনে ছন্দ হারিয়ে ফেলে পিএসজি। তাঁরা পুরো ১১ জন নিয়েও খেলা শেষ করতে পারেনি। বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ইদ্রিসা গেয়ে।

পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল সিটি। দলটি আক্রমণেও প্রাধান্য দেখায়। গোলমুখে তাঁদের নেওয়া ১১ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, মরিসিও পোচেত্তিনোর দলের ১০ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।

দ্বিতীয় মিনিটেই সিটির রক্ষণভাগের পরীক্ষা নেয় স্বাগতিক পিএসজি। পাল্টা আক্রমণে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে যান নেইমার। তাঁর শট কাইল ওয়াকার ব্লক করার পরে তা সহজেই লুফে নেন গোলরক্ষক এদারসন। দশ মিনিট পরে তাঁর দুর্দান্ত সেইভে বেঁচে যায় সিটি। মার্কো ভেরাত্তির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে জোরালো শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। বলে হাত ছুঁইয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন এদারসন।

দুই মিনিট পরেই কর্নার থেকে এগিয়ে যায় প্যারিসিয়ানরা। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বাতাসে ভাসানো বলে নিখুঁত হেড করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনোস। বল যখন জালে প্রবেশ করে, তখন এদারসনের কিছুই করার ছিল না।

একবিংশ মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে সফরকারী ক্লাব। জোয়াও ক্যান্সেলোর ক্রসে বাইলাইনের কাছ থেকে দারুণ দক্ষতায় শট নেন বার্নার্দো সিলভা। অবশ্য, তৈরি ছিলেন নাভাস। ফলে, গােল হয়নি। ৪২তম মিনিটে ফিল ফোডেন নাভাস বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন।

৬১তম মিনিটে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনার বাইসাইকেল কিক লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পরে গোল শোধ করেন তিনিই।

সাত মিনিট পরে সিটি’র এগিয়ে যাওয়ার দায়ও পিএসজি’র রক্ষণভাগের। ফ্রি-কিক আটকাতে যে-দেয়াল বানানো হয়েছিল – তা কাজে আসেনি। প্রেসনেল কিম্পেম্বে ও লেয়ান্দ্রো পারদেসের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা পার হয়ে গোল হয়। শুরুতে ডি ব্রুইনা শট নেবেন বলে মনে হলেও, শেষ মুহূর্তে কিক নিয়ে বাজিমাত করেন আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাহরেজ।

৭৫তম মিনিটে ফোডেনের হেড পরাস্ত করতে পারেনি নাভাসকে। দুই মিনিট পর ইকাই গুন্দোয়ানকে ফাউল করে মাঠ ছাড়েন গেয়ে। ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে লালকার্ড দেখান রেফারি। একজন কম নিয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি পিএসজি’র, উল্টো তাঁদের আরও চেপে ধরে সিটি।

৮৪তম মিনিটে মাহরেজের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর আবার হতাশ হতে হয় তরুণ ইংলিশ তারকা ফোডেনকে। পিএসজি’র তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে জায়গা বানিয়ে তাঁর নেওয়া শট পরীক্ষা নিতে পারেনি নাভাসের।

আগামী মঙ্গলবার রাতে সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই ক্লাব। পিছিয়ে থাকার ধাক্কা সামলে ফাইনালে উঠতে হলে সেদিন অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হবে নেইমার-এমবাপেদের।

Loading...