loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে স্কটল্যান্ড


ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে স্কটল্যান্ড

ইউরো ২০২০-এর অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে শেষ ১৬-তে উত্তরণ নিশ্চিত করতে দেয়নি স্কটল্যান্ড। শুক্রবার (১৯ জুন) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী স্কটল্যান্ডের সাথে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে ইংলিশ দল; আর এতেই নক আউট পর্বের সুযোগ আপাতত থমকে গেছে।

ওয়েম্বলির ম্যাচটিতে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে পারলেই গ্রুপ-ডি’র দুই ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের দলের শেষ ১৬ নিশ্চিত হতে পারতো। কিন্তু অনেকটাই সাদামাটা খেলা দেখানো ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ডের পোস্টে বলতে গেলে মাত্র একটিই ভালো শট করতে পেরেছিল, কিন্তু সেটাও কাঙ্ক্ষিত ফল এনে দিতে পারেনি। বিপরীতে স্কটল্যান্ড অনেকটাই আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে। এক সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের কাছ থেকে হয়তবা ম্যাচ জয়ী তিন পয়েন্ট ছিনিয়েই নিচ্ছে স্কটিশরা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) গ্রুপের শেষ ম্যাচে এই মুহূর্তে টেবিলের শীর্ষে থাকা চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে পরাজয় এড়াতে পারলে ইংল্যান্ডের শেষ ১৬’র পথ নিশ্চিত হবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের বর্তমান সংগ্রহ চেক প্রজাতন্ত্রের সমান চার পয়েন্ট।

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের পরে প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে আসা স্কটল্যান্ড চেকদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বেশ লড়াকু দল হিসেবেই ইংল্যান্ডের কাছ থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে স্কটিশরা। এই এক পয়েন্ট অন্তত স্কটল্যান্ডের প্রাপ্যই ছিল। এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিততে পারলে স্কটল্যান্ডের সামনেও সুযোগ থাকবে নক আউট পর্বে উত্তরণের।

এ-পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচের কোনোটিতেই ইংল্যান্ডকে খুব ভালো সুযোগ সৃষ্টি করতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি সাউথগেটের দলের এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তার উপর হ্যারি কেইনের টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থতা ইংলিশদের এগিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক কেইনকে ৭৫ মিনিটে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন সাউথগেট। 

গত রোববার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জয়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড ঐ ম্যাচেও কেইনের ব্যর্থতা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। কেইনকে বাদ দেওয়ার মতো কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নিতেও সম্ভবত হিমশিম খাচ্ছেন ইংলিশ কোচ। প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে মৌসুম শেষ করা এই টটেনহ্যামের স্ট্রাইকারের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় এখন ইংলিশ দল।

২৫ বছর ৩১ দিনের গড় বয়স নিয়ে সাজানো ইংল্যান্ডের মূল একাদশ বড় কোনো টুর্নামেন্টে এই প্রথম এত কম বয়সী খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাঁদের মধ্যে থাকা দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় কেইন নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ হচ্ছেন।

৯৬ ইউরোর পরে প্রথমবারের মতো বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়া স্কটল্যান্ড তুলনামূলক ভালো খেলেছে। ওয়েম্বলিতে উপস্থিত প্রায় আড়াই হাজার স্কটিশ সমর্থক জাতীয় দলকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

খেলার শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটা অবশ্য পেয়েছিল ইংলিশরাই। তবে ম্যাসন মাউন্টের কর্নারে হেড নিলেও তা জাল স্পর্শ করাতে পারেননি জন স্টোন্স। ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার সুযোগে এরপর ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠতে থাকে স্কটল্যান্ড। এতে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে স্কটিশদের। তরুণ মিডফিল্ডার বিলি গিলমোরের স্কটল্যান্ডের হয়ে মূল একাদশে অভিষেক হয়েছে। মধ্যমাঠে তাঁর নৈপুণ্য বারবারই ইংলিশ রক্ষনভাগকে ব্যস্ত রাখছিল।

কিয়েরান টিয়ানির ক্রস থেকে ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড স্টিফেন ও’ডোনেলের শট ঠেকিয়ে দেন এবং বিরতির পর লিন্ডন ডাইকসের দুর্দান্ত শট গোললাইন থেকে ফেরান ইংলিশ ডিফেন্ডার জেমস। কেইনের সহায়তা রেসে জেমস ভালো একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।

Loading...