loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

  • পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম সিরি আ শিরোপা জয়

কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল


কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল

দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে সফল হওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। প্রথমার্ধে পাওয়া লিড ধরে রেখে পেরুকে হারিয়ে তিতের শিষ্যরা পেলেন আসরের ফাইনালের টিকিট। সোমবার (৫ জুলাই) রিও ডি জেনেইরোর নিলতন সান্তোস স্টেডিয়ামে কোপার প্রথম সেমিফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে সেলেসাওরা। নেইমারের পাস থেকে জয়সূচক গোলটি করেন লুকাস পাকেতা।

কোয়ার্টার-ফাইনালে ১০ জন নিয়েও চিলিকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ওই ম্যাচেও পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওঁর মিডফিল্ডার পাকেতা।

এদিন বল দখলে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল আক্রমণেও দেখায় প্রাধান্য। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৫ শটের আটটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, পেরু গোলমুখে সাতটি শট নিয়ে মাত্র দুইটি রাখতে পারে লক্ষ্যে।

আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেওয়া শক্তিশালী ব্রাজিলের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে পেরু। কিন্তু, স্বাগতিক দলের রক্ষণভাগে ফাটল ধরানো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। ফলে, আরও একবার পরাজিত হতে হলো তাঁদের।

কোপার গতবারের ফাইনালে নিজেদের মাঠে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। এবারের আসরের গ্রুপ পর্বেও দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেই লড়াইয়েও পাত্তা পায়নি পেরুভিয়ানরা। ৪-০ গোলে তাঁদেরকে বিধ্বস্ত করেছিলেন নেইমার-থিয়াগো সিলভারা।

ব্রাজিল অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। পাকেতার পাসে রিশার্লিসন ডি-বক্সে ঢুকে পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসেকে কাটিয়ে যান। তবে, বল কিছুটা দূরে চলে যাওয়ায় তিনি ফাঁকা জালে শট নিতে পারেননি। পরে তিনি নেইমারকে খুঁজে নিলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিএসজি ফরোয়ার্ড।

পাঁচ মিনিট পর কাসেমিরোর দূরপাল্লার জোরালো ফ্রি-কিক সোজাসুজি থাকলেও ঠিকমতো লুফে নিতে ব্যর্থ হন গালেসে। আলগা বল মিডফিল্ডার এভারতন কাজে লাগাতে না পারলে বেঁচে যায় পেরু। দুই মিনিট পর তাঁর আরেকটি প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখেনি।

ঊনবিংশ মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলপোস্ট অক্ষত রাখে পেরু। প্রথমে কাসেমিরোর আরেকটি দূরপাল্লার শট প্রতিহত করেন গালেসে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিপজ্জনক জায়গা থেকে নেইমারের শট রুখে দেওয়ার পর রিশার্লিসনের ফিরতি শটও ফিরিয়ে দেন তিনি। ছয় মিনিট পর এভারটনের শট আটকে দেন ডিফেন্ডার আলেক্সান্দার কায়েন্স।

৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। প্রতিপক্ষের লেগে থাকা খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেন অরক্ষিত পাকেতাকে। বাকি কাজ করতে ভুল করেননি তিনি (১-০)।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো ব্রাজিল; কিন্তু রেনান লোদির হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বিরতির পর গোলের জন্যে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পেরু; বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে দলটি। অন্যদিকে, ব্রাজিল রক্ষণভাগ জমাট রেখে বেছে নেয় পাল্টা-আক্রমণের কৌশল।

৪৯তম মিনিটে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে শট নেন জিয়ানলুকা লাপাদুলা; ঝাঁপিয়ে তা রুখে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন। তিন মিনিট পর বদলি রাজিয়েল গার্সিয়ার শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।

৬১তম মিনিটে আবারও পরীক্ষা দিতে হয় এডারসনকে; ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে গার্সিয়ার নেওয়া শট তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি। ১০ মিনিট পরে ব্রাজিলের পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।

৮১তম মিনিটে ফের সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু; কায়েন্সের হেড লক্ষ্যে ছিল না।

আগামী ১১ জুলাই মারাকানা স্টেডিয়ামে হবে চলতি আসরের ফাইনাল। সেদিন আর্জেন্টিনা অথবা কলম্বিয়াকে মোকাবিলা করবে ব্রাজিল। এই দুই দল মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হবে।

Loading...