loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

২৮ বছর পরে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা


২৮ বছর পরে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা

প্রথমার্ধে পাওয়া গোল ধরে রাখলো আর্জেন্টিনা। বিরতির পর মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়েও মেসিদের রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি ব্রাজিল। ফলে, ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতার স্বাদ পেলো আর্জেন্টিনা। এর আগে দেশটি ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার দুই গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল আর্জেন্টিনা।

শনিবার (১০ জুলাই) রাতে মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকা ২০২১-এর ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাচের দ্বাবিংশ মিনিটে জয়সূচক গোলটি এসেছে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কাছ থেকে। এই শিরোপা জেতার মাধ্যমে পূরণ হলো বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির স্বপ্ন। জাতীয় দলেরর জার্সিতে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। অন্যদিকে, ম্যাচে বেশ ভালো খেলেও ব্রাজিলের নেইমারের কোপা জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো। 

এদিন ল্যাটিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াইয়ে ফুটবলের চিরায়ত সৌন্দর্যের দেখা তেমন একটা মেলেনি। ফাউলের ছড়াছড়ি ছিল ম্যাচজুড়ে। আর্জেন্টিনা ফাউল করেছে ১৯টি, ব্রাজিল করেছে ২২টি।

বল দখলের আধিপত্য করার পাশাপাশি আক্রমণেও প্রাধান্য দেখিয়েছে ব্রাজিল। তবে, গোলমুখে নেওয়া তাঁদের ১৩ শটের মাত্র দুই-তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনাও ছয়টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে দুইটি।

গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে বেশ সময় নিয়েছে দুই দলই। ত্রয়োদশ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। রিশার্লিসনের পাসে ডি-বক্সের ভেতরে নেইমারের শট ব্লক করেন নিকোলাস ওটামেন্দি।

দ্বাবিংশ মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে পাস দেন রদ্রিগো ডি পল। বল ক্লিয়ার করার সুযোগ থাকলেও ব্যর্থ হন লেফট-ব্যাক রেনান লোদি; দারুণ ছোঁয়ায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক এদারসনের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান ডি মারিয়া।

সাত মিনিট পরে ফের সুযোগ আসে ডি মারিয়া সামনে; তবে, তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।

৩৪তম মিনিটে ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল; যাহােক, সামনে থাকা রক্ষণপ্রাচীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার।

৪২তম মিনিটে এভারটনের শট আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে বাধা পেলে অনায়াসে লুফে নেন ম্যাচে দারুণ খেলা আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটে রিশার্লিসন গোলমুখে ফেলেন অসাধারণ এক ক্রস; কিন্তু লুকাস পাকেতা ডাইভ দিয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিতের শিষ্যরা। ৫২তম মিনিটে রিশার্লিসন জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল করা হয়। তিন মিনিট পরে এমিলিয়ানোর দক্ষতায় বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। নেইমারের পাসে রিশার্লিসনের শট রুখে দেন তিনি।

৮৩তম মিনিটে বদলি নামা গ্যাব্রিয়েল বার্বোসা পারেননি ব্রাজিলকে গোল এনে দিতে। তাঁর শট প্রতিহত করেন সেন্টার-ব্যাক জার্মান পেজ্জেয়া। কিছুক্ষণ পরে ড্যানিলোর দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

চার মিনিট পরে আবারও আলবিসেলেস্তেদের ত্রাণকর্তা এমিলিয়ানো। নেইমারের ক্রস রক্ষণভাগে বাধা পাওয়ার পরে পেয়ে যান বার্বোসা, তাঁর শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।

৮৯তম মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। আক্রমণ তৈরি করে ম্যাচে দারুণ খেলা পলের কাছ থেকে ফিরতি পাস পান তিনি; বক্সের মধ্যে শুধুমাত্র গোলরক্ষক এদারসনকে পরাস্ত করতে হতো তাঁকে, কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মেসি।

বাকি সময়েও ম্যাচে ফাইনালের উত্তেজনাই ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের আক্রমণভাগের ধাক্কা সামলে স্নায়ু-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আর্জেন্টিনা।

নিজদেশে অনুষ্ঠিত কোপার ছয় আসরের মধ্যে এই প্রথম  ট্রফি জয়ে ব্যর্থ হলো ব্রাজিল।

এই ম্যাচটিই কোপা আমেরিকার এবারের আসরের একমাত্র ম্যাচ, যেখানে মারাকানার ধারণ-ক্ষমতার ১০ শতাংশ, অর্থাৎ, ৭,৮০০ দর্শক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল। করোনা-মহামারি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া নিয়ম রক্ষা করেই দর্শক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

Loading...