ক্যারোলিনা প্লিস্কোভাকে পরাজিত করে প্রথমবারের উইম্বলডন টেনিসের শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ্লে বার্টি। শুক্রবার (১০ জুলাই) অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ফাইনালে বিশ্বের ত্রয়োদশ বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের প্লিস্কোভাকে ৬-৩, ৬-৭ (৪/৭), ৬-৩ গেমে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুললেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা ২৫ বছর বয়সী বার্টি।
২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী বার্টি ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘ক্যারিয়ার শুরু করার পরে দীর্ঘ সময় লেগেছে উইম্বলডন জেতার স্বপ্ন দেখতে এবং সবাইকে বলতে। আমি গতকাল রাতে খুব একটা ঘুমাতে পারিনি। নানা প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে।’
২০১২ সালের পরে এই প্রথমবারের মতো নারীদের উইম্বলডন ফাইনালে তিন সেটের লড়াই হলো। সে-বছর তিন সেটের লড়াইয়ে পোল্যান্ডের আগ্নিয়েস্কা রাদাওয়ানাস্কাকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। এছাড়া, ২০১৬ সালে সেরেনার পরে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে বার্টি উইম্বলডন জয় করার কৃতিত্ব দেখালেন।
শুক্রবার প্রথম সেটেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বার্টি নিজেকে শিরোপার দাবীদার করে তোলেন। প্রথম ১৪ পয়েন্ট দুর্দান্ত গতিতে জিতে এই অস্ট্রেলিয়ান নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন। অবশ্য, দ্বিতীয় সেটে দারুণভাবে ফিরে এসেছিলেন ২৯ বছর বয়সী প্লিস্কোভা। এই সেটে ৬-৫ গেমে এগিয়ে থাকার পরে ম্যাচ জয়ী গেমে সার্ভিসের সময় বার্টিকে প্রথমবারের মতো ব্রেক করেন তিনি। এরপর, টাইব্রেকে প্লিস্কোভা সেটটি জিতলে তৃতীয় সেটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হন দুই শীর্ষ তারকা। শেষ সেটে বার্টি ২-০ গেমে এগিয়ে থাকলেও পরপর দুটি ভুলে আবারো পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় পড়েন। যাহােক, সব কিছুকে পিছনে ফেলে এক ঘন্টা ৫৬ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপার দেখা পান বার্টি।
গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে আঘাত পেয়ে মাঝপথেই ম্যাচ থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন বার্টি। যে-কারণে উইম্বলডনের শিরোপাটা তাঁর কাছে আরও বেশি বিশেষ ছিল। মার্গারেট কোর্ট ও এভানে গুলাগং কলির পরে তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান নারী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের শিরোপা জয় করলেন বার্টি।
প্লিস্কোভার জন্য অবশ্য এই পরাজয়টা হতাশারই ছিল। বিশ্বের সাবেক এই এক নম্বর খেলোয়াড় ২০১৬ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালেও তিন সেটের লড়াইয়ে অ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর এই প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি।