ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। যাহোক, ফের জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি। রোববার (১৮ জুলাই) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা।
হেডিংলিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ২০০ রান করে অলআউট হয় ইংলিশরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল সফরকারী দল। দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম গড়েন ৫০ রানের জুটি। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকেন তাঁরা। উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো জুটিই গড়ে ওঠেনি তাঁদের।
শেষ দিকে অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন শাদাব খান; কিন্তু তাঁর ঝড়ো ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে মাত্র। ২২ বলে দুইটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৬ রান করেছেন তিনি। দলের পক্ষে ২৯ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান।
ইংলিশদের পক্ষে ৩৩ রানের খরচায় তিন উইকেট পেয়েছেন সাকিব মাহমুদ। এছাড়া, দুইটি করে উইকেট শিকার করেন আদিল রশিদ ও মইন আলী।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৮ রানেই দুই উইকেট হারায় দলটি। তবে তৃতীয় উইকেটে মইন আলীর ঝড়ো ব্যাটিংই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অধিনায়ক জস্ বাটলারের সঙ্গে তিনি ৬৭ রানের জুটি গড়েন।
এরপর মইন আউট হলে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে ৫২ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে আউট হন বাটলার। এই জুটি ভাঙার পরে অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও কোনো সমস্যা হয়নি দলটির। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ ঠিকই ২০০ স্পর্শ করেছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন বাটলার। ৩৯ বলে সাতটি চার ও দুইটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ২৩ বলে ৩৮ রান এসেছে লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে। তাঁর ইনিংসে দুইটি চার ও তিনটি ছক্কা ছিল। তবে, সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব দেখিয়েছেন মইন। ১৬ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ৩৬ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫১ রানের খরচ করে তিনি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ হাসনাইন। দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন ইমাদ ওয়াসিম ও হারিস রৌফ।
